টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে জমে উঠেছে গোবিন্দাসী গরুর হাট। হাটে দেশি-বিদেশি গরুর পাশাপাশি মহিষ, ছাগল, ভেড়া বিক্রিও বেড়েছে। হাটের ফ্ল্যাড লাইটের ব্যবস্থা থাকায় গরু বিক্রি হচ্ছে রাত ১২টা পর্যন্ত। সপ্তাহের প্রতি রবি ও বৃহস্পতিবার বসে গরুর হাট।
কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে গোবিন্দাসী গরুর হাটে দেশি গরুর পাশাপাশি ভারতীয় গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ বিক্রি বেড়েছে। দূর-দূরান্ত থেকে আসা গরু ব্যবসায়ীরা এই হাট থেকে কমামে গরু ক্রয় করে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রির উদ্দেশ্য নিয়ে যাচ্ছেন।
এ ছাড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদের পক্ষ থেকে হাটে ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিম স্থাপন করে গরুর চিকিৎসা ও রোগ শনাক্তের কাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য গ্রাম পুলিশের পাশাপাশি থানা পুলিশ টহল দিচ্ছে। হাটে আসা বিক্রেতা ও ক্রেতারা কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই তাদের বেচাকেনা করছেন। তবে বরাবরের মতো বিক্রেতারা হাটে ভালো দাম না পাওয়ার কথা জানান। আর হাটে গরু কিনতে আসা ক্রেতারা জানান গরুর দাম বেশির কথা।
হাটে গরু কিনতে আসা নাঈম হাসান জানান, হাটে গরু প্রচুর কিন্তু দাম বেশি। তার পরও কোরবানির গরু কিনতেই হবে। গাবতলি থেকে গরু কিনতে আসা ব্যবসায়ী কোরবান আলী জানান, ঈরে শেষ সময়ে গরুর একটু দাম থাকবেই সেটা আমরাও জানি। তারপরও তুলনামূলকভাবে এ হাটে গরুরাম কিছুটা কম।
স্থানীয়রা ও হাট ইজারাদার জানান, আগে গরুর হাটে পানি জমে কাদার সৃষ্টি হতো। এখন হাটে মাটি ভরাট, গেট নির্মাণ, অফিস ঘর নির্মাণ, হাটের চারপাশে ফ্ল্যাড লাইট, সীমানাপ্রাচীর নির্মাণসহ বিভিন্ন প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা গরুর ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, হাটে মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। গোবিন্দাসী গরুর হাটে এনথ্রাক্স বা কোনো ধরনের কঠিন রোগের গরু পাওয়া যায়নি। তবে কিছু কিছু ক্ষুরা রোগের গরু পাওয়া গেছে।
ভূঞাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাশিদুল ইসলাম জানান, হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য গ্রাম পুলিশের পাশাপাশি থানা পুলিশ নিয়োজিত রয়েছে। পুরো হাটে ফ্ল্যাড লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন