মাছের রোগ প্রতিরোধে হলুদের ব্যবহার আমরা অনেকেই জানি না। যুগ যুগ ধরে গ্রামীন বাংলা ছাড়াও দক্ষিন এশিয়ার বিভিন্ন দেশে এটি একটি প্রদাহ-নাশক ঔষধী হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। মাছ চাষেও হলুদ ব্যবহারে অনেক উপকার পাওয়া যায়। নিম্নে সংক্ষেপে মাছ চাষে হলুদের মাধ্যমে রোগ নিরাময়ে প্রয়োগ ও ব্যবহার তুলে ধরা হলো-
মাছের রোগ প্রতিরোধে হলুদের ব্যবহার:
১। হলুদ এন্টিসেপ্টিকের কাজ করে। পরিমিত মাত্রায় মাছের খাবারের সাথে পর পর ৫-৭ দিন হলুদ খাওয়ালে মাছের ক্ষত রোগ দ্রুত সেরে উঠতে সহায়তা করে।
২। হলুদ ক্রিমি নাশ করেঃ হলুদের এক নাম ক্রিমিনাশকারী। সকালে মাছের খালি পেটে খাবারের সাথে পরিমিত মাত্রায় হলুদের রস মিশিয়ে পর পর ৩ দিন খাওয়ালে ক্রিমি নাশ করে।
৩। হলুদ মাছের পাচনতন্ত্র ও মুখে অনেক পরজীবীর বাস থেকে রক্ষা পেতে ও মাছের নানাবিধ চর্ম রোগ থেকে রক্ষা করে।
৪। মাছের লিভার বা যকৃতের দোষে কাঁচা হলুদের রস পর পর ৭ – ১০ দিন খাওয়ালে ভাল ফল পাওয়া যায়।
৫। পুকুরের জোঁক নিধনে হলুদ ব্যবহার হতে পারে ।
৬। হলুদের মধ্যে প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ লবণ, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, লোহা প্রভৃতি নানা পদার্থ রয়েছে। তাই হলুদ মাছের খাদ্যের সাথে পরিমিত মাত্রায় সপ্তাহে ২ দিন ১০০ কেজি খাদ্যের সাথে ৫০ গ্রাম হলুদ উত্তম রুপে মিশিয়ে খাওয়ালে মাছের শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
৭। মাছের দেহে রক্তের ঘাটতি বা রক্ত শুন্যতা দেখা দিলে হলুদ বাটা সপ্তাহে ২ দিন ১০০ কেজি খাদ্যের সাথে ৫০ গ্রাম হলুদ উত্তম রুপে মিশিয়ে খাওয়ালে উপকার মিলবে, কেননা এটি রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে।
৮। হলুদ মাছের হার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারে।
৯। হলুদ শ্রেষ্ঠ রক্ত পরিস্কারক।
সতর্কতা:
একাধারে দীর্ঘদিন কাঁচা হলুদ মাছকে খাওয়ানো উচিত নয়, মাঝে মধ্যে বিরতি দিতে হবে। পরিমাণমতো হলুদ খাওয়াতে হবে। অতিরিক্ত হলুদ মাছের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।
ফার্মসএন্ডফার্মার/১৫ফেব্রু২০২০