ফুলকপি একটি শীতকালীন সবজি। স্বাস্থ্যকর এই সবজি বিভিন্ন রোগের দাওয়াই হিসেবে কাজ করে। ওজন কমানো থেকে শুরু করে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ক্যানসারসহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে। এ সবজিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইটোকেমিকেলসহ বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান থাকায় এটি স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী।
তবে, অতিরিক্ত পরিমাণে এই সবজি খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। কারণ এই সবজি হজম করা খুব কষ্টকর। বিশেষ করে যখন এটি কাঁচা খাওয়া হয়। ফলে পেট ফুলে যাওয়া বা গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।
ফুলকপির ক্ষতিকর দিক
প্রায় সব মানুষই ফুলকপি পছন্দ করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সবজিতে রাফিনোজ নামক একটি পদার্থ রয়েছে। যেটি এক ধরনের কার্বোহাইড্রেট। প্রাকৃতিকভাবেই এই কার্বোহাইড্রেট কিছু সবজিতে উপস্থিত থাকে। সমস্যা হলো, এই কার্বোহাইড্রেট আমাদের শরীর ভাঙতে পারে না।
আপনি যখনই এই কার্বোহাইড্রেটসমৃদ্ধ সবজি গ্রহণ করলেন, এরপর সেটি ছোট অন্ত্র থেকে বড় অন্ত্রে চলে যায়। সব শেষে যখন তারা বৃহৎ অন্ত্রে প্রবেশ করে, তখন সেখানে থাকা ব্যাকটেরিয়া এটিকে গাজনপ্রক্রিয়া শুরু করে। এর পরেই পেটে গ্যাস তৈরি হতে পারে। ফলে পেট ফুলে যায়।
কাদের জন্য ফুলকপি খাওয়া ঠিক নয়
*থাইরয়েডের সমস্যা যাদের আছে তাদের জন্য ফুলকপি ক্ষতিকর। কারণ এতে টি-৩ এবং টি-৪ হরমোন বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকে।
*ফুলকপিতে পটাসিয়াম বেশি থাকে। বেশি পরিমাণে খেলে রক্ত ধীরে ধীরে ঘন হতে থাকে। এতএব, যারা রক্ত পাতলা করার ওষুধ সেবন করছেন তারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ফুলকপি খেলে ভালো হয়।
*যে মায়েরা শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ান, তারা ফুলকপি এড়িয়ে চললে ভালো।
প্রায়ই যদি কাঁচা ফুলকপি খান, তাহলে জেনে রাখুন, কাঁচা ফুলকপিতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের পরিমাণ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি। হজমের সমস্যায় ভুগলে সব সময় রান্না করা ফুলকপি খাওয়ার চেষ্টা করুন। ফুলকপি সিদ্ধ করলে এতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রায় নষ্ট হয়ে যায়। তাই এই সবজিটি সীমিত পরিমাণে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।