আজ রোববার বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস

349

বন্যপ্রাণী-দিবস

আজ রোববার বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস। ২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৮তম অধিবেশনে আন্তর্জাতিক বিলুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণী এবং উদ্ভিদের বাণিজ্য সম্মেলনে ৩ মার্চকে, বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস হিসেবে ঘোষণা করার আহ্বান জাননো হয়।

বিশ্বের বন্যপ্রাণী এবং উদ্ভিদকুলের প্রতি গণসচেতনতা বৃদ্ধি করা এ দিবসের মূল লক্ষ্য। বর্তমান সময়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে প্রতিবার একটা প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়।

এবারের প্রতিপাদ্য- ‘Life below water: for people and planet’.

প্রাণের প্রথম বিকাশ ঘটেছিল সমুদ্রে। স্থলের চেয়ে জলেই ছিল সবচেয়ে বেশি প্রাণের বিচরণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্থলভাগে যত মূল্যবান ও সুন্দর বস্তু আছে, তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি লুকিয়ে আছে অথৈ জলরাশির গভীরে।

এই যে আমাদের বাংলাদেশ, এ দেশও কিন্তু সমুদ্রের ঐশ্বর্যে লালিত হয়ে আসছে বহু বছর ধরে। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে আমরা পেয়েছি জলজ ও খনিজসম্পদের স্বর্গরাজ্য ‘বঙ্গোপসাগর’।

সর্ববৃহৎ প্রাণী নীল তিমি থেকে শুরু করে একেবারে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র্র ফাইটোপ্লাঙ্কটন এখানে তৈরি করেছে চমৎকার এক সামুদ্রিক প্রতিবেশ।

কিন্তু বিভিন্নভাবে আমরা সমুদ্র দূষণ করে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যকেই ধ্বংস করছি না, নিজেদেরও অস্তিত্ব সংকটে ফেলছি। মাছ ধরার টুকরো উপাদান, কার্গো জাহাজগুলোর বাতিল অংশ, প্লাস্টিকের শপিং ব্যাগ, জাহাজের বর্জ্য ও তেল দূষিত করছে সমুদ্রের জলকে। হস্তশিল্প ও জুয়েলারি নির্মাণের জন্য ধ্বংস হচ্ছে প্রবাল কলোনি। ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ছে সামুদ্রিক প্রতিবেশ।

ইউএনডিপির ব্যুরো ফর পলিসি অ্যান্ড প্রোগ্রাম নোট এবং জাতিসংঘের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাবডুলায়ে মার ডাইয়ে বলেন, ‘সমুদ্র আমাদের জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ করে, শ্বাসকার্যে ব্যবহৃত মোট অক্সিজেনের অর্ধেক এখানেই উৎপন্ন হয়।

৩ বিলিয়ন এরও বেশি মানুষের জন্য পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে। নির্গত মোট কার্বন ডাই অক্সাইডের ৩০ ভাগ শোষণ করে এবং বিশ্বজুড়ে উৎপাদিত তাপের ৯০ ভাগ নিয়ন্ত্রিত করে। তাই প্রকৃতিভিত্তিক সমাধানগুলো প্রয়োগ করার মাধ্যমে মহাসাগর ও সামুদ্রিক প্রজাতি সুরক্ষিত করতে হবে। এছাড়া এদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জনসাধারণ, ব্যক্তিগত ও নাগরিক সমাজকেও এগিয়ে আসতে হবে।’

বাতাস, সূর্যরশ্মি, স্রোত ও ঢেউকে কাজে লাগিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির চমৎকার উৎস হিসেবে কাজে লাগিয়েছে অনেক দেশ। বাংলাদেশেও এ ধরনের নতুন নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হতে পারে।

শুধু তাই নয়, উৎপাদনভিত্তিক প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ এ দেশের মানুষের জীবন ও জীবিকাকে আরও উন্নত করতে পারে। আমরা এগিয়ে এলেই সফল হবে সমুদ্র এবং সামুদ্রিক প্রতিবেশকে রক্ষার আয়োজন। বাঁচবে বিপন্ন সামুদ্রিক প্রজাতি। নিয়ন্ত্রণে থাকবে আবহাওয়া ও জলবায়ু।