ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ আ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ফিআব) এর রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে মৎস্য পোল্ট্রি খাদ্যে পাটের বস্তার ব্যবহারের বাধ্যতামূলক করার বিষয়টি ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন আদালত।
এ আদেশের প্রেক্ষিতে আপাতত এ সময়ের জন্য পোল্ট্রি ও ফিস ফিড সংরক্ষণ ও পরিবহণে পাটের ব্যবহার হচ্ছে না।
সম্প্রতি সরকার পোল্ট্রি ও ফিস ফিড সংরক্ষণ ও পরিবহণে পাটের বস্তার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। অপরদিকে পাটের বস্তার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার বিরোধিতা করে পোল্ট্রি ও ফিস ফিড উৎপাদক তথা শিল্প উদ্যোক্তারা ও ব্যবহারকারী তথা খামারীরা।
‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০’ এর ধারা ২২ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার বিধিমালা- ২০১৩ এর অধিকতার সংশোধন করে পোল্ট্রি ও ফিস ফিড সংরক্ষণ ও পরিবহণে পাটের বস্তার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করে।
ফিআব-এর পক্ষ থেকে গত ১৩ আগস্ট বস্ত্র ও পাট মন্ত্রনালযের প্রতিমন্ত্রী বরাবর একটি চিঠি পাঠানো হয়। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়। তারা আশা করেন, সরকার এ বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে পোল্ট্রি শিল্পের অগ্রযাত্রায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় সহসা সরকারের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত আসতে দেরি হওয়ায় ‘ফিআব’ আদালতের দারস্থ হয়। ফিআব মৎস্য ও পোল্ট্রি খাদ্যে পাটের বস্তার ব্যবহারে সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করে।
উল্লেখ্য, পাটের বহুমুখী ব্যবহার ও সম্প্রসারণ এবং পরিবেশ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে ২০১০ সালে পণ্যের মোড়কীকরণে পাটের ব্যবহার বাধ্যতামূলখ করে আইন প্রণয়ন করা হয়। কোনো প্রতিষ্ঠান এই আইন না মানলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডের বিধান রাখা হয়। দ্বিতীয়বার একই অপরাধ করলে শাস্তি সর্বোচ্চ দণ্ডের দ্বিগুণ করার বিধানও করা হয়। পাটের বস্তায় পোল্ট্রি ও ফিস ফিড মোড়কীকরণের বাধ্যবাধকতা আরোপের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে মাছ ও মুরগির খাদ্য উৎপাদনকারিদের সংগঠন ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ আ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ফিআব)।
তবে সংশ্লিষ্টরা বলেছেন যে ভবিষ্যতে এ শিল্পের উন্নয়নে একেবারে পাটের বস্তার ব্যবহার বন্ধ করা উচিত।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন