চাষব্যবস্থায় কীটনাশকের ব্যবহার অপরিহার্য। দিন দিন রাসায়নিক কীটনাশকের পাশাপাশি জৈব কীটনাশকের ব্যবহার বেড়েই চলছে। জৈব কীটনাশক তৈরির প্রক্রিয়া হিসেব আজ আমরা আদা ও রসুনের প্রস্তুত প্রণালী ও ব্যবহার জানব।
জৈব কীটনাশক তৈরিতে প্রধান উপকরণ
১) পরিষ্কার পাত্র,
২) পরিষ্কার বিশুদ্ধ পানি,
৩) কাঁচা আদা,
৪) সাবান/ সাবান গুঁড়া/ তরল সাবান ( সাধারণ সাবান, কাপড়ধোয়ার সাবান, থালা-বাসন পরিষ্কার করার শুকনো/ তরল সাবান, শ্যাম্পু, হ্যান্ডসোপ ইত্যাদি)।
প্রস্তুত প্রনালী
ক) কাঁচা আদা ভালোভাবে বেটে একটি পরিষ্কার পাত্রে ১০০গ্রাম পরিমাণ নিতে হবে।
খ) একটি পরিষ্কার পাত্রে ৫লিটার পানি নিয়ে তাতে ১০০গ্রাম বাটা কাচা আদা ভিজিয়ে রাখতে হবে।
গ) এরপর মিশ্রণের সাথে ৫গ্রাম সাবান গুঁড়া ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।
ঘ) তারপর মিশ্রণটি ভালোভাবে ছেঁকে নিতে হবে।
ঙ) এভাবেই কাঁচা আদার নির্যাস থেকে প্রস্তুত হয়ে গেল জৈব কীটনাশক। এখন এটিকে সাথে সাথেই বাগানে প্রয়োগ করতে হবে।
প্রয়োগ সময়
প্রখর রোদ ছাড়া যেকোনো সময়।
ব্যবহার ও উপকারিতা
৫-৭ দিন পর পর গাছে স্প্রে করতে পারেন। তাহলে এফিড বা জাবপোকা, থ্রীবস, টমেটো, মরিচ, ক্যাপসিকাম ইত্যাদি সবজির সাদা মাছি পোকা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।নির্দিষ্ট পোকা দমন করা যায়, নির্দিষ্ট প্রজাতির পোকা ছাড়া অন্য প্রাণীর ক্ষতিসাধনের সম্ভাবনা কম থাকে।
ক) রাসায়নিক কীটনাশক থেকে কম ক্ষতিকর।
খ) পরিবেশে সহজে ভেঙে যায় (biodegradable) বা নষ্ট হয়ে যায় তাই পরিবেশের ক্ষতি হয় না। পরিবেশ বান্ধব।
গ) রাসায়নিক কীটনাশকের ব্যবহার না করেই স্বাস্থ্যকর ও শতভাগ জৈব উপায়ে ফসল উৎপাদন সম্ভব হয়।
সতর্কত
ক) যেহেতু জৈবিক প্রক্রিয়ায় বা প্রাকৃতিকভাবে কীটনাশক তৈরী করা হচ্ছে সেহেতু মাটির পাত্র ব্যবহার করলে ভালো হয়।
খ) বিশুদ্ধ পানিতে কোনোরুপ ক্ষতিকর পদার্থ, অন্য কোনো রাসায়নিক পদার্থ বা আয়ন দ্রবীভুত থাকবে না।
ফার্মসএন্ডফার্মার/১৮সেপ্টেম্বর২০