আধুনিক ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে গাভীর দুধ দোহন পদ্ধতি আমরা অনেকেই জানি না। আমদের দেশে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সনাতন পদ্ধতি তথা হাত দিয়ে গাভীর দুধ দোহন করা হয়ে থাকে। সঠিক উপায়ে কিংবা পরিষ্কার-পরিছন্নতা বজায় না রাখার কারণে অনেক সময় বিভিন্ন রোগ ছড়াতে পারে। আসুন আধুনিক ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে গাভীর দুধ দোহন পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নেই-
আধুনিক ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে গাভীর দুধ দোহন পদ্ধতিঃ
১। দুধ দোহনকারী ব্যক্তির শরীর ও হাত পরিষ্কার পানি ও জীবানু নাশক দিয়ে ধৌত করতে হবে।
২। দোহনকারীকে হাতের নখ অবশ্যই ছোট রাখতে হবে।
৩। প্রতিদিন একই সময় দুধ দোহন করতে হবে।
৪। যে ঘরে গাভীর দুধ দোহন করা হবে, সেই ঘরটি অবশ্যই পরিষ্কার, শুকনা, ধুলাবালিবিহীন এবং ঠান্ডা বা ছায়াযুক্ত হতে হবে।
৫। গাভীর মলমূত্র ও খাদ্যের পাত্র প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে। দোহনের পূর্বে গাভীর শরীর অবশ্যই পরিষ্কার করে নিতে হবে এবং প্রয়োজনবোধে গাভীকে গ্রুমিং (Grooming) করতে হবে।
৬। দুধ দোহনের পূর্বে গাভীর ওলান ভিজা কাপড় দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে, এরপর পরিষ্কার শুকনা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলতে হবে।
৭। দোহনের সময় গাভীর প্রসাব বা গোবর যাতে দুধের পাত্রে ছিটে না পড়ে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে ।
৮। দুধ দোহনের সময় প্রথম দুই-তিন ফোঁটা দুধ ফেলে দিতে হবে।
৯। যে পাত্রে দুধ রাখা হবে সেটি পরিষ্কার ও শুকনা হতে হবে।
১০। প্রয়োজনবোধে পরিষ্কার পানি দিয়ে পাত্র ধৌত করতে হবে।
১১। দুধ নিঃসরনের সাথে জড়িত হরমোন অক্সিটোসিন মাত্র ৮ মিনিট কাজ করে । এজন্য ওই সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ দুধ পেতে দোহন শেষ করতে হবে।
১২। সাধারণত সকাল ও বিকাল দুই বেলা দুধ দোহন করা উচিত, এতে দুধ উৎপাদন পরিমাণ বাড়ে।
১৩। দোহন শেষে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাচা দুধ প্রক্রিয়াজাতকরণ করতে হবে। স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে গাভীর দুধ দোহনের কোন বিকল্প নেই ।
ফার্মসএন্ডফার্মার/১২ফেব্রু২০২০