গত বছরের শেষের দিকে দেশে আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে পিয়াজের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি ছিল অন্যতম। ২০১৯ সালের জুলাই মাসের শুরুতে প্রতি কেজি পিয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা হলেও আগস্টের শুরু থেকে দাম বাড়তে শুরু করে। সেপ্টেম্বর মাসে পিয়াজের কেজি ১০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। পরবর্তীতে গত অক্টোবর-নভেম্বর মাসে পিয়াজের রেকর্ড পরিমাণ দাম বেড়ে প্রতি কেজি পিয়াজ বিক্রি হয় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা দরে। এ নিয়ে প্রায় পাঁচ মাস আলোচনা-সমালোচনার পর দাম কমতে শুরু হয়েছিলো পিয়াজের। গত এক মাসের মধ্যে কেজি প্রতি পিয়াজের দাম ১০০ টাকায় চলে আসে।
অন্যদিকে আমদানি করা পিয়াজের দাম কেজিপ্রতি ২২০ থেকে কমে চলে আসে ৬০ টাকায়। এছাড়া কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমে টিসিবির ট্রাক সেলের পিয়াজও চলে আসে ৩৫ টাকায়। কিন্তু, দাম কমতে না কমতেই সম্প্রতি আবারও বাড়ছে পিয়াজের দাম। বাজারে বর্তমানে আমদানি করা পিয়াজ না থাকলেও সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পিয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ফলে নতুন বছরের শুরুতেই পুরোনো বছরের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
এসব বাজারে বর্তমানে দেশি পিয়াজ কেজিপ্রতি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ এক সপ্তাহ আগেও দেশি নতুন পিয়াজ কেজিপ্রতি বিক্রি হয় ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়। গত সপ্তাহে আমদানি করা পিয়াজ প্রতিকেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হয়।
দীর্ঘদিন পিয়াজের চড়া দামের পর কমে আসতে শুরু করায় ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি নামতে শুরু করেছিল। কিন্তু, এরই মধ্যে আবারও হঠাৎ পিয়াজের দাম বাড়ায় অসন্তোষ তৈরি হয়েছে ক্রেতাদের মাঝে।