দিগন্তজোড়া মাঠে সবুজের সমারোহ বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ। চারদিক তাকালেই চোখ জুড়িয়ে যায়। মাদারীপুর জেলার প্রতিটি ফসলের মাঠ এখন কৃষকের পদচারণায় মুখরিত। ভালো ফলনের আশায় আমন ধান পরিচর্যায় কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। কাকডাকা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলছে ধান খেত পরিচর্যার কাজ। কৃষকরা ফসলের মাঠে আগাছা পরিষ্কার, সার প্রয়োগ ও পোকার আক্রমণ থেকে ধান রক্ষা করতে কীটনাশক প্রয়োগ করছেন।
সরেজমিনে মাদারীপুরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে সোনালি ধানের সমাহার। যেদিকে চোখ যায় শুধু ধান আর ধান।বৃষ্টি বেশি হয় ধানে পোকামাকড় কম হয়েছে। সকাল পেরিয়ে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নারা প্রখর রোদ গায়ে মেখে ধানের গোছাগুলো যেন আরও হৃষ্টপুষ্ট হয়ে উঠেছে। এদিকে এ বছর আমন চাষে সার ও কীটনাশকের দাম বৃদ্ধিতে কৃষকের বাড়তি খরচ গুণতে হয়েছে। তবে এসব সমস্যা কাটিয়ে আমান ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। তারা বলেছেন, গত বছর প্রতিমণ ধান বিক্রি হয়েছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা। এ বছর যদি ধানের দাম বাড়ে তাহলে কৃষকের কিছুটা লাভ হবে। সরকারের কাছে ধানের ন্যায্য মূল্যের দাবি জানান তারা।
কালকিনি উপজেলার আলিপুর এলাকার কৃষক মাজেদ আলী জানান, এ বছর আমন আবাদ করে আশা করা যায় আল্লাহর রহমতে বাম্পার ফলন পাব। তবে গেল বছরের চেয়ে আবাদে খরচ হয়েছে দ্বিগুণ। সার ও বিদ্যুতের দাম বেশি হওয়ায় খরচ বেশি পড়েছে। প্রতি বিঘায় খরচ হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। তারপরেও আশা করছি এ বছর আমন ধান ভালো হওয়ায় লাভ হবে।
সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের মধ্যেরচর এলাকার ধান চাষি মো. আবদুল রসিদ বলেন, বাজারে দাম ভালো রয়েছে। এ বছর ধানে কৃষকের লাভ হবে। খরচ বাদে প্রতি বিঘা জমিতে ১০-১৫ হাজার টাকা লাভ হবে।
মাদারীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. সন্তোষ চন্দ্র চন্দ জানান, এবার জেলায় আমন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে ২২ হাজার ৩০ মেট্রিক টন। এ জেলায় পর্যাপ্ত বৃষ্টি হওয়ায় ধানের খেতে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ হয়নি। এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে।