আমলকি কেন খাবেন?

914

আমলকি কেন খাবেন

ভেষজ গুণে পরিপূর্ণ একটি অনন্য ফল হল আমলকি। মানব শরীরে এর ঔষধী গুন বলে শেষ করা যাবেনা। প্রতিটি মানুষের শরীরে আমলকি শেবন অত্যন্ত উপকারের। আমলিকর ফল ও পাতা দুটিই ওষুধরূপে ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন অসুখ সারানো ছাড়াও আমলকি রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে দারুণ সাহায্য করে। আমলকির গুণাগুণের জন্য আয়ুর্বেদিক ওষুধেও এখন আমলকির নির্যাস ব্যবহার করা হয়।

চলুন জেনে নিই আমলকি সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

পুষ্টি উপাদান (প্রতি ১০০ গ্রামে):

জলীয় অংশ (মস) ৯১.৪
মোট খনিজ পদার্থ (মস) ০.৭
হজমযোগ্য আঁশ (মস) ৩.৪
খাদ্যশক্তি (শপ) ১৯
আমিষ (মস) ০.৯
চর্বি (মস) ০.১
শর্করা (মস) ৩.৫
ক্যালসিয়াম (সম) ৩৪
লৌহ (সম) ১.২
ক্যারোটিন (সম) ০
ভিটামিন বি১ (সম) ০.০২
ভিটামিন বি২ (সম) ০.০৮
ভিটামিন সি (সম) ৪৬৩

ইংরেজি নাম : Aonla

বৈজ্ঞানিক নাম : Emblica officinalis

জাত : বাউআমলকী-১, বারি আমলকী-১।

পুষ্টিগুণ : প্রচুর ভিটামিন সি ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ ফল।

ঔষধিগুণ : আমলকীর রস যকৃৎ, পেটের পীড়া, হাঁপানি, কাশি, বহুমূত্র, অজীর্ণ ও জ্বর নিরাময়ে বিশেষ উপকারী। এর পাতার রস আমাশয় প্রতিষেধক ও বলকারক। আমলকীর রসের শরবত জন্ডিস, বদহজম ও কাশির হিতকর। হাঁপানি, কাশি, বহুমূত্র ও জ্বর নিরাময়ে এর বীজ ব্যবহার করা হয়।

উৎপাদন এলাকা : রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, ভাওয়াল, মধুপুর ও সিলেট এলাকায় চাষ বেশি হয়। চুন সমৃদ্ধ (ক্যালক্যারিয়াস) মাটিতে আমলকী ভালো হয়।

ব্যবহার : আমলকী থেকে চাটনি, আচার তৈরি হয়। এছাড়াও আয়ুর্বেদীয় ও ইউনানি ওষুধ তৈরিতে আমলরকীর যথেষ্ট ব্যবহার হয়েছে। ত্রিফলার এক ফল হিসেবে বেশ জনপ্রিয় এবং প্রয়োজনীয়। কেটে শুকিয়ে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায়। মুখের রুচি বাড়াতে হজমশক্তি বাড়াতে ব্যবহৃত হয়।

ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ