আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্পে বদলে যাচ্ছে দরিদ্র মানুষের জীবন

375

agri.maze_
জেলার কাউনিয়া উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়নের নিলামখরিদা গ্রামের বুদারাম চন্দ্র বর্মন এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ২০১০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর তিনি এই প্রকল্পে যুক্ত হন। ২০১২ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পে ২৪০০ টাকা সঞ্চয় জমা করে ১০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে একটি গরু ক্রয় করে বুদারাম। নিয়মিত কিস্তি পরিশোধের পাশাপাশি ৬ মাস পরই গরুটি ৩৫,০০০টাকায় বিক্রি হয়। এভাবে ধাপে ধাপে এগুতে এগুতে ২০১৩ সালে তিনি নার্সারী ব্যবসায় নেমে পড়েন বুদারাম।

দেখতে দেখতে ৭ বছর কেটে গেছে তার নার্সারি ব্যবসার। তার নার্সারীতে ৮ জন শ্রমিক দৈনিক কাজ করেন। ইতোমধ্যে ছোট ভাই-বোনকে বিয়ে দিয়েছেন, অপর ভাই এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন। নার্সারী থেকে প্রতিমাসে লাখ টাকার উপরে আয় হয় বুদারামের। সম্প্রতি বুদারামও বিয়ে করে এক কন্যা সন্তানের জনক হয়েছেন।

বুদারাম জানান, এক সময়ে পরিবারের দু’বেলা ভাত কাপড় জোটাতে পারছিলাম না, শিক্ষা-চিকিৎসা তো দূরের কথা। এখন আমি আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী।

আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মঈন উদ্দিন জানান, প্রকল্পটি চালু হবার পর মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যায়। দরিদ্র ব্যক্তিরা বিভিন্ন এনজিও ছেড়ে প্রকল্পের সদস্য হন। বর্তমানে কাউনিয়া উপজেলায় প্রকল্পের আওতাভুক্ত ৬টি ইউনিয়নে ১১৩টি সমিতিতে উপকারভোগীর সংখ্যা ৬০৬০ জন, এদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ সদস্য মহিলা।

কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার উলফৎ আরা বেগম জানান, দারিদ্র দূরীকরণের পাশাপাশি এই প্রকল্প মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করছে। যেমন- ছেলে মেয়েদের বাল্য বিবাহ দেওয়া বন্ধ, নারীর ক্ষমতায়ন, স্যানিটেশন ও সমাজ গঠনমূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ।

ফার্মসএন্ডফার্মার/১২মার্চ২০