ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও করোনার কারণে বিপর্যস্ত বাগেরহাটের চিংড়ি চাষিরা। সময় মত পর্যাপ্ত পোনা ছাড়তে না পারা আর পোনার বেশি দামের কারণে মৌসুমের শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছেন তারা। তার উপর উৎপাদিত বাগদা ও গলদা চিংড়ির দাম না পাওয়ায় মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে চিংড়ি চাষ। মৎস্য বিভাগ বলছে, চাষিদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
দেশে সবচে বেশি চিংড়ি উৎপাদন হয় বাগেরহাট জেলায়। এ বছর মৌসুমের শুরুতেই করোনার থাবা ও পোনা সংকটে পড়েন চাষিরা। এরপরই সুপার সাইক্লোন ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে ভেসে যায় প্রায় সাড়ে চার হাজার চিংড়ি ঘের। এতে আর্থিক ক্ষতি হয় একশো কোটি টাকা। পরে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় বেশি দামে পোনা কিনে চাষ শুরু করেন চাষিরা।
তবে গত বছর যে ঘেরে বিঘায় ৪ হাজার পোনা ছাড়া হয়েছিল, এবছর সেটা নেমে আসে এক থেকে দেড় হাজার পোনায়। বর্তমানে উৎপাদিত বাগদা চিংড়ির দামও কেজি প্রতি দাম কমেছে ৪শ থেকে ৫’শ টাকা। ফলে চিংড়ি চাষিরা চরম আর্থিক ক্ষতির শিকার।
এ অবস্থায় সরকারি সহায়তার দাবি জানান চিংড়ি চাষি নেতা।
জেলা চিংড়ি চাষি সমিতি সভাপতি ফকির মহিতুল ইসলাম সুমন বলেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে ভবিষ্যতে বাগেরহাটে চিংড়ি চাষ আর হবে না।
চিংড়ি চাষিদের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে চিংড়ি ও সাদা মাছের মিশ্র চাষের পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে জানান মৎস কর্মকর্তা।
মৎস্য কর্মকর্তা খালেদ কনক বলেন, যে সমস্ত ঘেরগুলোতে চিংড়ি উৎপাদন ব্যহত হওয়ার আশংকা রয়েছে, সেখানে সাদা মাছের পোনা দিয়ে ঠিক রাখার চেষ্টা চলছে।
জেলায় প্রায় ৬৭ হাজার হেক্টর জমিতে সাড়ে ৭৮ হাজার বাগদা ও গলদা চিংড়ির ঘের রয়েছে। গত অর্থ বছরে সাড়ে ১৬ হাজার মেট্রিক টন বাগদা ও সাড়ে ১৫ হাজার মেট্রিক টন গলদা চিংড়ি উৎপাদন হয়েছে।
সূত্র: সময় টিভি
ফার্মসএন্ডফার্মার/২০আগস্ট২০