বাংলাদেশে শীতের শুরুতে এবং শেষে টার্কি ও অন্যান্য পোল্ট্রি খামারীরা সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়।এই দুই সময়ই দিন ও রাতের তাপমাত্রার মধ্যে ব্যাপক তারতম্য ঘটে। দেখা যায় দিনে প্রচন্ড গরম এবং রাতে হঠাৎ ঠান্ডা পরে যায়।এছাড়াও শীতের শুরুতে বিভিন্ন শীত প্রধান দেশ হতে পরিযায়ী পাখিরা অামাদের দেশে অাসতে শুরু করে। অনেক সময় তারা সাথে করে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও ফ্লু এর জীবানু নিয়ে অাসে।
এইসব বিভিন্ন কারনে শীতের শুরু এবং শীতের শেষের দিকটায় বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় ফার্মে রোগ ব্যাধির সংক্রমণ বেশী দেখা যায়।
বিগত বছর গুলোতে অসংখ্য টার্কি খামার শূণ্য হয়ে গেছে শীতের শুরু এবং শেষে। এজন্য এখনই সঠিক সময় সতর্ক হওয়ার।
শীতকালীন বিশেষ সতর্কতাঃ
১। বায়ো সিকিউরিটি জোড়দার করুন
২। এসময় বাহির হতে সবরকম প্রাণী ক্রয় হতে বিরত থাকুন।
৩। শেডের চারিপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে শেডের ভিতর ও বাহিরে ৩ঃ১ অনুপাতে চুন+ব্লিচিং প্রয়োগ করুন।
৪। অন্তত একদিন পর পর শেডের ভিতর বাহির জীবানুনাশক স্প্রে করুন।
৫। লিটার সবসময় শুকনা ও ঝরঝরে রাখুন।
৬। দুই সপ্তাহ পরপর প্রতি ১০স্কয়ার ফিটে ২৫০গ্রাম হারে চুন গুড়া করে লিটার উলট পালট করে মিশিয়ে দিন।
৭। শীতের অাগেই রানিক্ষেত, ফাউল কলেরা এবং সম্ভব হলে বার্ড-ফ্লু ভ্যাক্সিন দিয়ে দিন।
৮। খামার এলাকায় কোনরকম প্রাণী যেন প্রবেশ না করতে পারে সেদিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিন।
৯। খামারে ভিজিটর নট এলাউড করুন।
১০। নিজে বায়ো সিকিউরিটি মেনে চলুন এবং খামার কর্মীদের এবিষয়ে প্রশিক্ষণ দিন।
১১। প্রয়োজন ছাড়া হুটহাট ঔষধ ও এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করবেননা।
১২। সপ্তাহে দুুই দিন ১লিটার পানিতে ১গ্রাম পরিমাণ হলুদ গুড়ো ভাল করে মিশিয়ে ১বেলা পাখিকে খেতে দিতে পারেন।
১৩। সপ্তাহে ২দিন ১লিটার পরিমাণ পানিতে ১চা চামচ দেশী রসুন পেস্ট করে মিশিয়ে ১বেলা খাওয়াতে পারেন।
১৪। বিশুদ্ধ মধু সপ্তাহে ২দিন ১লিটার পরিমাণ পানিতে ১চা চামচ করে ১বেলা খেতে দিতে পারেন।
১৫। বেশী শীতের সময় সকালে ও রাতে খাবার পানি অবশ্যই কুসুম গরম করে খেতে দিবেন।
শীতের জড়তা কাটিয়ে অাপনার ফার্মে চীর বসন্ত লেগে থাকুক সেই প্রত্যাশা রইল।
ফার্মসএন্ডফার্মার/ ১৭অক্টোবর ২০২২