ইউটিউবে ভিডিও দেখে কাশ্মীরি কুল চাষে সফলতা শিক্ষার্থীর

331

193508manikgonj.pc-1_

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এসএম সোহান শখের বশে করেছিলেন কুলের বাগান। বাবা-মায়ের কাছে থেকে অনুমতি নিয়ে দুই বিঘা জমিতে রোপন করেছিলেন পাঁচ শতাধিক কুলের চারা। সে বাগানের কুল মাত্র আট মাসের ব্যবধানে সোয়া দুই লাখ টাকায় কিনে নিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী। কাশ্মীরি আপেল কুলের এ বাগান দেখতে প্রায় নিয়মিত লোকজন ভীড় করছেন। আলোচিত এ কাশ্মীরি কুলের বাগানটি মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে।

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মো. শিহাব হোসেন বসবাস করেন মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে জিয়নপুর এলাকায়। তার ছেলে এসএম সোহান ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ শেষ বর্ষে অধ্যয়নরত। সোহান শখের বশে কাশ্মীরি কুলের নূরানী ও সুন্দরী জাতের পাঁচ শতাধিক চারা ঝিনাইদহ থেকে এনে রোপন করেন। আট মাসের মাথায় শুরু হয়েছে ফলন। এখন বাগান দেখে সোহান নিজেই অভিভূত। আশেপাশে এলাকার লোকজন আগ্রহ নিয়ে আসছেন বাগান দেখতে।

এসএম সোহান বলেন, ‘গতবছর ইউটিউবে কুল চাষের ভিডিও দেখে আগ্রহী হয়ে উঠি। বিষয়টি মা-বাবাকে জানালে তারা উৎসাহের পাশাপাশি অর্থসহ জমির যোগান দেন। প্রথমে দুই বিঘা জমিতে পাঁচশতাধিক কাশ্মীরি জাতের কুলের চারা রোপন করি। ভয়ে ছিলাম কি হয়। মাত্র আট মাস পরই গাছগুলোতে কুল আসতে থাকে। এখন প্রতিটি গাছ কুলের ভারে নুয়ে পরেছে। প্রথমে শখ থাকলেও এখন বানিজ্যিকভাবে চাষ করার ইচ্ছা আছে।’

সোহান জানান, ইতিমধ্যে একজন ব্যবসায়ী সোয়া দুই লাখ টাকায় বাগানটি কিনে নিয়েছেন। বাজারে অন্য কুল যখন শেষ তখনই এ জাতের কুলের মৌসুম শুরু হয়। একারনে বেশি দাম পাবার আশা থাকে। দুই বিঘা জমিতে চারা রোপনসহ নানা কাজে ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়। সেক্ষেত্রে লাভের অংশ অনেক বেশি থাকে।

কুল ব্যবসায়ী মো. ইউসুফ আলী বলেন, ‘এ জাতের কুলের রাজধানীসহ সারা দেশে চাহিদা রয়েছে। বাগানটি সোয়া দুই লাখ টাকায় কিনলেও আশা করছি চার লাখ টাকায় কুল বিক্রি করতে পারবো।’

দৌলতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমদাদুল হক জানান, মানিকগঞ্জ জেলায় প্রথমবারের মতো কাশ্মীরি জাতের কুল আবাদ হচ্ছে। আকারে বড় ও সুস্বাদু আপেল কুলের বেশ চাহিদা রয়েছে।

সোহানের বাবা মো. শিহাব হোসেন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলের কৃষির প্রতি ঝোঁক দেখে খুশি হয়েছি। শিক্ষিত বেকার যারা তারাও এ ধরনের উদ্যোগ নিয়ে স্বাবলম্বী হতে পারে।’

ফার্মসএন্ডফার্মার/১১ফেব্রু২০২০