উন্নত পদ্ধতিতে গোবর সার তৈরির উপায় জানতে পারলে সহজেই কৃষকরা সেই সার তৈরি করে জমিতে প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারবেন। জমিতে জৈব সার ব্যবহারের ফলে ফলন ভালো হওয়ায় পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য ঠিক থাকে। এই সার ব্যবহারে কৃষকরা কম খরচেই অধিক ফসল উৎপাদন করতে পারেন। আজ আমরা জানবো উন্নত পদ্ধতিতে গোবর সার তৈরির উপায় সম্পর্কে-
উন্নত পদ্ধতিতে গোবর সার তৈরির উপায়ঃ
১। উন্নত পদ্ধতি গোবর সার তৈরির জন্য প্রথমেই গোয়াল ঘরের কাছাকাছি একটি স্থানে সামান্য উঁচু স্থান বেছে নিয়ে ১.৫ মিটার চওড়া, ৩ মিটার লম্বা ও ১ মিটার গভীর গর্ত তৈরী করতে হবে। গোবরের পরিমাণ অনুযায়ী গর্তের আকার ছোট বা বড় হতে পারে।
২। গর্ত করার পরে তলা ভালোভাবে পিটিয়ে সেখানে খড় বা বালি বিছিয়ে দিতে হবে। কোনভাবেইযাতে পানি সহজে শুষে নিতে পারে অথবা গর্তের তলা এবং চারপাশে গোবর দিয়ে ভালভাবে লেপে নিতে পারেন।
৩। গর্তের চারিদিকেই তলদেশের দিকে একটু ঢালু রাখতে হবে এবং গর্তের উপরে চারপাশে আইল দিয়ে উঁচু করে রাখতে হবে যেন বর্ষার পানি গর্তে যেতে না পারে।
৪। গর্তের পাশ থেকে গোবর ফেলে গর্তটি ভরতে থাকুন অথবা গর্তটিকে কয়েকটি ভাগেভাগ করে কয়েক দিনে এক একটি অংশ ভরে পুরো গর্ত ভরাট করা ভালো।
৫। গর্তে গোবর ফলার ফাঁকে ফাঁকে পুকুর বা ডোবার তলার মিহি মাটি ফেলুন, এতে স্তর আঁটসাট হয় এবং সার গ্যাস হয়ে উবে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না।
৬। প্রায় দেড় মাস পর সারের গাদা ওলটপালট করে দিতে হবে। যদি গাদা শুকিয়ে যায় তবে গো-চনা দিয়ে ভিজিয়ে দিন কারণ, গো-চনাও একটি উৎকৃষ্ট সার।
৭। গোবরের সাথে টিআসপি (ঞঝচ) ব্যবহার করলে জৈব সারের মান ভালো হয়। গোবরের গাদার প্রতি টনের জন্য ১৫-২০ কেজি টিএসপি ব্যবহার করতে পারেন।
৮। কড়া রোদে গোবর যেন শুকিয়ে না যায় আবার বৃষ্টিতে ধুয়ে না যায় সে জন্য গাদার ওপরে চালা দিয়ে দিন। খড়, খেজুর পাতা কিংবা তালপাতা দিয়ে কম খরচে এই চালা তৈরী করতে পারেন। এভাবে সংরক্ষণের ২ মাসের মধ্যেই গোবর পচে ভালো মানের সার তৈরি হয়।
লেখাঃ ডঃ সদরুল আমিন
ফার্মসএন্ডফার্মার/ ১৬ মে ২০২১