দিন দিন বাচ্চা এবং খাদ্যের দাম ক্রমাগত বাড়তে থাকায় লোকসান ঠেকাতে মুরগি পালন কমিয়ে দিচ্ছেন খামারিরা। যার ফলে মুরগির বাচ্চা ও খাদ্য উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এইভাবে চলতে থাকলে বাজারে কমে যাবে মুরগির সরবরাহ।
বাজারে সরবারহ কমে গেলে যার প্রভাব পড়বে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায়। আসছে বাজেটে কর অবকাশ সুবিধা চায় এ খাতের শীর্ষ সংগঠন বিপিআইসিসি। তবে এই দাবিকে ইতিবাচ মনোভাব হিসেবে দেখার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের সভাপতি মসিউর রহমান বলেন, যে কোনো ইন্ডাস্ট্রি করতে গেলে ক্যাপিটাল মেশিনারিজে কর দিতে হয় ১ শতাংশ। অথচ এই খাতে দিতে হচ্ছে ১০ শতাংশ। ২০৩০ সাল পর্যন্ত যদি কর অবকাশের সুবিধা দেয়া হয়, তাহলে বিনিয়োগকারীরা আবার বিনিয়োগ করবে। এতে করে খাতটিকে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে।
ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ বলেন, বাজারে সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। বিশেষ করে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় পণ্যের দাম বাড়ছে। এ অবস্থায় এই খাতে নজর না দিলে উৎপাদন ২০-২৫ শতাংশ কমে যাবে।
ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী জাহিন হাসান বলেন, যেভাবে দ্রব্য মূল্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে লোকসান দিয়ে তো আর ব্যবসা করা যাবে না। শুরুতে মুরগির বাচ্চা উৎপাদন কমবে। এক মাস পর কমে আসবে মুরগির সরবরাহও।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, এ শিল্পের জন্য বিশেষ সহযোগিতা ও সহায়তার প্রয়োজন। কর অবকাশ ও ভর্তুকির মাধ্যমে এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, এ খাতটি সহজলভ্য ও সহজপাচ্য আমিষের প্রধান উৎস। সূত্রঃ সময় টিভি
ফার্মসএন্ডফার্মার/২৫মে ২০২২