একই জমিতে পেয়ারা ও মাল্টার চাষে সফলতা

388

malta-cultivate-s
একই জমিতে দুই রকমের ফল চাষ করা হচ্ছে। এ নিয়ে কৃষকরা সফলতাও পাচ্ছে। এবারে কৃষি খাতে নতুন সম্ভাবনার স্বপ্ন নিয়ে নওগাঁর সাপাহারে একই জমিতে পেয়ারা ও মাল্টা চাষের উদ্যোগ নিয়েছেন মাইপুর গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে ইসমাইল হোসেন।

ইসমাইল হোসেন জানান, একই জমিতে পেয়ারা ও মাল্টা চাষের জন্য তিনি তার মামা রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলামের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত হন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি উপজেলার মাইপুর গ্রামে তার নিজস্ব ৭০ শতাংশ জমির উপর ৪০০টি পেয়ারা গাছ ও ২০০টি মাল্টা গাছের সমন্বয়ে তৈরি করেন পেয়ারা ও মাল্টার বাগান। ছয় মাস আগে রোপিত গাছগুলো বর্তমানে বেশ বড় হয়ে ফল ধরার উপযোগী হয়েছে। এরই মধ্যে বেশকিছু গাছে মাল্টা ও পেয়ারা দেখা গেছে।

এর আগে ওই কৃষক প্রায় ২০ বিঘা জমিতে আমবাগান করে বেশ স্বাবলম্বী হয়েছেন। পরবর্তী সময়ে কৃষি খাতে নতুনত্ব আনার জন্য স্বল্প জায়গায় বিভিন্ন প্রকারের ফল ও ফসলাদি ফলাবার জন্য নিরলস প্রচেষ্টা করে যাচ্ছেন।

পেয়ারা ও মাল্টা বাগানের পরিচর্যার জন্য তিনি নিয়মিতভাবে সাপাহার উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন দিন বদলের জন্য।

এই ধরনের সমন্বিত বাগানে কি ধরনের লাভবান হবেন জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, যে জায়গায় তিনি এই চাষ করেছেন সেটা যদি অন্য কোনো একক ফলের চাষ করতেন তাহলে সে মুনাফাটা হতে পারতো একমুখী কিন্তু এ ধরনের সমন্বিত চাষে দ্বিমুখী মুনাফা অর্জন করা সম্ভব।

ইসমাইল হোসেনের এই সমন্বিত চাষের বিষয়ে যদি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর তাকে উন্নত ফর্মুলা ব্যবহারে প্রশিক্ষণ দেয়ার ব্যবস্থা করেন তাহলে সে কৃষি খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন।

ফার্মসএন্ডফার্মার/১৯জানু২০২০