একটি গাভী যখন গর্ভবতী হয় তখন ঐ গাভীটিকে একটু বিশেষ ভাবে যত্ন নিতে হয়। যেমন গাভীর খাদ্য প্রদান, গাভীর গোসল, গাভীর থাকার জায়গা ইত্যাদি বিষয়।গর্ভবতী গাভীকে খাদ্য প্রদানে যেসব বিষয় গুরুত্ব দিতে হবে সে বিষয়গুলো আমাদের অনেকেরই জানা নেই। গরু পালনে লাভবান হওয়ার জন্য বাচ্চা উৎপাদন করার বিকল্প নেই।
আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলগুলোতে ব্যাপকহারে গাভী পালন করা হয়। গাভী পালনকালে গর্ভবতী অবস্থায় বেশি যত্ন নিতে হয়। আজকে চলুন জেনে নেই গর্ভবতী গাভীকে খাদ্য প্রদানে যেসব বিষয় গুরুত্ব দিতে হবে সেই সম্পর্কে-
গর্ভবতী গাভীকে খাদ্য প্রদানে যেসব বিষয় গুরুত্ব দিতে হবেঃ
পালন করা গাভী গর্ভবতী হলে খাদ্য প্রদানের সময় যে বিষয়গুলো বেশি গুরুত্ব দিতে হয় তা নিচে দেওয়া হল-
১। গাভী গর্ভবতী হলে গাভীকে খাদ্য প্রদানের সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে গাভীর খাদ্যে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদন বিদ্যমান থাকে। গর্ভবতী থাকা অবস্থায় গাভীর শরীরে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টির দরকার হয়। এছাড়াও গাভীকে পুষ্টিকর খাদ্য গাভীকে প্রদান করলে গর্ভের বাচ্চা সুস্থ ও সবল থাকে।
২। গর্ভবতী গাভীকে খাদ্য প্রদানে এমনভাবে খাদ্য প্রদান করতে হবে যাতে গাভীর দৈনিক খাদ্য চাহিদা পূরণ হয়। সম্ভব হলে একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর গাভীকে খাদ্য প্রদান করতে হবে। এতে গাভী সুস্থ-সবল থাকবে ও বাচ্চাও পরিপুষ্ট হবে।
৩। গর্ভবতী গাভীকে কাঁচা ঘাস খাওয়াতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়। গাভীকে নিয়মিত কাঁচা ঘাস খাওয়ালে গাভীর প্রয়োজনীয় সকল ভিটামিন ও পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে। এছাড়াও গাভী আরও বেশি শক্তিশালী হবে। ফলে বাচ্চা প্রসবের সময় তেমন কোন জটিলতা দেখা দিবে না।
৪। গাভী গর্ভবতী হওয়ার পর থেকে গাভীকে যতটা সম্ভব নরম ও তরল জাতীয় খাদ্য বেশি খাওয়াতে হবে। শুকনো খাদ্য প্রদানের পাশাপাশি নরম ও তরল খাদ্য প্রদান করলে গাভীর খাদ্য হজমে সমস্যা দেখা দিবে না এবং গাভী সুস্থ থাকবে।
৫। গর্ভধারণ করা গাভী বেশি দুর্বল হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে গাভীর খাদ্য প্রদান করতে হবে। এছাড়াও গাভীকে সবল রাখার জন্য খাদ্যের সাথে অতিরিক্ত উপাদান মিশ্রিত করে গাভীকে খাওয়াতে হবে।
উপরের বিষয়গুলি ভাল ভাবে খেয়াল রাখলে একটি গর্ভবতী গাভীকে সুস্থভাবে বাচ্চা প্রসব করানো যাবে।
তথ্যসূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার
ফার্মসএন্ডফার্মার/০৪নভেম্বর২০২০