সংযোগ মৎস্যচাষি ব্যবস্থাপনার বৈশিষ্ট্য:
১। উত্তম মৎস্যচাষ পদ্ধতি অনুশীলন (GAP) বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা।
২। প্রতি ইউনিয়নে সর্বনিম্ন এক জন করে সংযোগ মৎস্যচাষী নির্বাচন করা।
৩। সংযোগ চাষি সেই ব্যক্তিকেই নির্বাচন করা হবে যার নিজস্ব অর্থ ব্যয়ে মাছ চাষের সামর্থ্য, আগ্রহ ও সৃজনশীলতা রয়েছে। তার পুকুর হতে হবে নিজস্ব বা দীর্ঘমেয়াদি ইজারাপ্রাপ্ত।
৪। চাষি মৎস্য কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে ব্যক্তিগত অর্থ খরচ করে মাছ চাষ করবে। সরকারিভাবে কোনো অর্থনৈতিক সুযোগ দেয়ার অঙ্গীকার করা হবে না।
৫। মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সংযোগ মৎস্যচাষিকে মাছ চাষের নিয়ম কানুন হাতে কলমে শিখিয়ে দেবেন এবং সংযোগ মৎস্যচাষির সাথে উপজেলা কর্মকর্তার সার্বক্ষণিক যোগাযোগ থাকবে। সর্বচ্চ আন্তরিকতার সাথে এ কাজ করতে হবে।
৬। সংযোগ মৎস্যচাষির পুকুর প্রস্তুতি থেকে শুরু করে মাছ আহারন পর্যন্ত সকল কাজ উপজেলা কর্মকর্তার সরাসরি নির্দেশনা মোতাবেক চলবে।
৭। কর্মকর্তা অবশ্যই নির্বাচিত সংযোগ চাষির পূর্ব বছরের পুকুরের উৎপাদন, আয়-ব্যয় ও আর্থসামাজিক বিষয়ের ওপর জরিপ পরিচালনা করবেন।
৮। নির্বাচিত পুকুরগুলো প্রদর্শনী পুকুর হিসেবে বিবেচিত হবে।
৯। কর্মকর্তাদের কর্মসম্পাদন বিচার করা হবে সংযোগ মৎস্যচাষির সফলতার ভিত্তিতে।
১০। প্রদর্শনী পুকুরের সফলতা দেখানোর জন্য উপজেলা কর্মকর্তা নিজ উদ্যোগে ইউনিয়নের অন্যান্য চাষিদেরকে একত্রিত করবেন।
সংযোগ মৎস্যচাষি কার্যক্রম বাস্তবায়ন কৌশল:
সংযোগ মৎস্যচাষির বৈশিষ্ট্য মূলত এলাকাভিত্তিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থাভেদের ওপর নির্ভরশীল। তবে সাধারন বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নরূপঃ
১। পুকুরের মালিকানা চাষির নিজের হতে হবে বা লিজভূক্ত হলে তা দীর্ঘমেয়াদি হতে হবে।
২। পুকুরটি অবশ্যই মাছ চাষের উপযোগী হতে হবে।
৩। প্রতি ইউনিয়ন হতে কমপক্ষে একজন করে চাষি নির্বাচন করতে হবে।
৪। চাষিকে সংযোগ মৎস্যচাষি হিসাবে স্বপ্রণোদিতভাবে কাজ করার মান্সিকতা থাকতে হবে।
৫। লিখেতে পড়তে এবং হিসাব রাখতে সক্ষম এমন চাষি নির্বাচন করতে হবে।
৬। নির্বাচিত চাষিকে উদ্যোগী ও সৃজনশীল হতে হবে।