এক ‘দুগ্ধ ভিলেজ’ গ্রামের গল্প

463
গ্রামের নাম দুগ্ধ ভিলেজ

 

দিনাজপুর থেকে: ‘দুগ্ধ ভিলেজ’ নামে খ্যাত বিশাপাড়া। দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার দুই নম্বর বোয়ালদাড় ইউনিয়নে অবস্থিত গ্রামটি। এ গ্রামে গড়ে উঠেছে দেশি-বিদেশি প্রজাতির গাভী নিয়ে ছোট-বড় ৬৫টি খামার। খামারগুলোতে রয়েছে ছয় থেকে ১৫টি দুগ্ধ উৎপাদনকারী গাভী। প্রতিটি গাভীর বাজার মূল্য ৪০ হাজার থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত। খামারের মালিকরা হয়েছেন স্বাবলম্বী।

উপজেলা সদর থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দক্ষিণে বিশাপাড়া নামে দুগ্ধ ভিলেজ গ্রামটি অবস্থিত।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামে ছোট-বড় মিলে ৬৫টি খামারি রয়েছে। মোট গাভীর সংখ্যা ২৪৫টি। এদের মধ্যে ৭৫টি বকনা, শংকর জাতের ৬৫টি, দেশি ১০৫টি গাভী রয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৮০টি গাভী থেকে ৪০০ লিটার দুধ উৎপাদন হয়।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি গ্রামটিকে ‘দুগ্ধ ভিলেজ’ ঘোষণা করে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মাসুদুর রহমান প্রায় চার বছর আগে বসতবাড়িতে একটি ফ্রিজিয়ান জাতের গাভী কেনেন। এখন তার ছয়টি গাভী রয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ২০ লাখ টাকা।

মাসুদুর রহমান আক্ষেপ করে বলেন, দুধ বেচার জায়গা নেই। এখন খামার ছেড়ে দিতে মন চায়। দুধের বাজার একেবারেই কম। দুধ নিয়ে বাজারে বিক্রি করতে গেলে ৩০-৩২ টাকায় প্রতিলিটার বিক্রি করতে হয়। তাই খামারে প্রতিদিন ৫০ লিটার উৎপাদিত দুধ একই গ্রামের ঘোষ উজ্জ্বল চন্দ্রের কাছে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি করেন।

এ প্রসঙ্গে ঘোষ উজ্জ্বল জানান, তিনি দই, মিষ্টি তৈরি করে বাংলা হিলি বাজারে সরবরাহ করে থাকেন। এতে প্রতিদিন ১০০ লিটার দুধের প্রয়োজন হয়। গ্রামেই খামার থাকায় তাকে দুধ কিনতে কোথাও যেতে হয় না। গ্রামের খামারিদের কাছ থেকেই তিনি দুধ কিনে থাকেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুস সামাদ জানান, আধুনিক পদ্ধতিতে যাতে খামারিরা গাভী লালন-পালন ও পরিচর্যা করতে পারেন, সে লক্ষ্যে ওই খামারিদের নিয়ে নিয়মিত উঠান বৈঠক করা হয়। এছাড়াও যখন কোনো রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়, তখন মেডিক্যাল টিম গঠন করে চিকিৎসা ও সেবা দেওয়া হয়। সূত্র: বিএন।

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/ মোমিন