কোকো ডে ম্যার ফলটি মূলত বীজের জন্য বিখ্যাত। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং বেশি ওজনের সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক বীজ।
বিরল এই ফলের গাছ বর্তমানে ভারত মহাসাগরের প্রাসলিন দ্বীপের ন্যাশনাল পার্ক এবং কুরিয়াস দ্বীপের মেরিন ন্যাশনাল পার্কে পাওয়া যায়। প্রাসলিনেই এ গাছ বেশি দেখা যায়। দ্বীপ দুটি ১১৫টি উপদ্বীপ নিয়ে গঠিত সিসিলিস দ্বীপপুঞ্জের সদস্য।
* কোকো ডে ম্যার বীজ দেড় ফুট লম্বা হয়। এর ব্যাস ৩ ফুট পর্যন্ত হতে পারে। ওজন ২০ কেজি থেকে শুরু। বীজের রেকর্ড সর্বোচ্চ ওজন ৪২ কেজি। বিস্ময়কর হল, এ গাছে ফুল আসতে ২০ থেকে ৪৫ বছরও সময় লেগে যায়।
পূর্ণাঙ্গ ফল হতে লাগে সাত বছর। কোকো ডে ম্যারের বীজ অঙ্কুরোদ্গমের জন্য সময় নেয় দুই বছর। বীজের রং গাঢ় বাদামি বা কালচে খয়েরি বা প্রায় কালচে হতে পারে। ভারত, শ্রীলংকা অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের বোটানিক্যাল গার্ডেনে এ বীজ সংরক্ষিত রয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য।
* কোকো ডে ম্যার গাছের উচ্চতা মাটি থেকে ৫৬ মিটার পর্যন্ত হতে পারে। বোটানিক্যাল নাম লোডোইসিয়া মালডিভিসিয়া। পাম প্রজাতির এ গাছটির নাম নিয়ে বিভিন্ন মত রয়েছে। কেউ বলেছেন, ফ্রান্সের রাজা চতুর্দশ লুইয়ের ল্যাটিন শব্দ ‘লুইস’ থেকে এর নামকরণ করা হয়েছে। কারও মতে, গ্রিক রাজা প্রিয়াম ও রানী হেকুবার কন্যা লাওডিস থেকে ‘লোডোইসিয়া’ নামকরণ হয়েছে।
পাতা ফ্যান আকারের। পাতা লম্বায় ৩০ ফুট, প্রশস্তে ১৪ ফুট হয়। এর ফুল বিশ্বের পুরো পাম প্রজাতির গাছের মধ্যে সবচেয়ে বড়। একেকটি গাছ ২০০ থেকে ৩০০ বছর বাঁচে। একটি গাছ সাধারণত ১০০টি ফল দেয়। শুকনো পাতা স্পন্দনশীল। দাবদাহ, ভূমিকম্প থেকে এ গাছ ভূমিকে রক্ষা করে। প্রকৃতির ইকোসিস্টেম রক্ষায় সহায়ক এ গাছ।
* এ ফলের অন্য অনেক নাম আছে। লাভনাট, সি কোকোনাট, ডাবল কোকোনাট, সিসিলিস নাট, কোকো ফেসে ইত্যাদি। ফলের ব্যাস প্রায় দেড় ফুট। ওজন ১৫ থেকে ৩০ কেজি। সর্বোচ্চ ৪২-৪৪ কেজিও হয়ে থাকে। ফলের শ্বাস জেলির মতো। প
রিপক্ব হলে শক্ত হয়ে যায়। আইসক্রিম, কাস্টার্ড, সালাদ অথবা অ্যাপাটাইজার হিসেবে ব্যবহৃদ হয়। আয়ুর্বেদিক ওষুধ, ঐতিহ্যবাহী চীনা ওষুধে ব্যবহৃদ হয়। গাছের বৃদ্ধির হারের ধীরগতি এবং বিশেষ পুষ্টিসমৃদ্ধ মাটির স্বল্পতার কারণে গাছটি এখন বিপন্ন হওয়ার পথে।
স্বাদু পানির মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ পঞ্চম
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/ মোমিন