এন্টিবায়োটিক কম্বাইন্ড করার নিয়মঃ
১.টিল্মিকোসিন +নিওমাইসিনঃদেয়া যাবে কারণ
১.২টিই ক্ষার
২.২টি আলাদা অর্গানিজমের বিরোদ্ধে কাজ করে।
টিল্মোসিন মেইনলি মাইকোপ্লাজমার বিরুদ্ধে শ্বাসনালীতে কাজ করে।৫০ রাইবোজোমাল সাব ইউনিটে কাজ করে।
নিওমাইসিন মেইনলি গ্রাম নেগেটিভ ব্যাক্টেরিয়ার বিরুদ্ধে জি আই ট্রাকে কাজ করে।৩০ রাবোসোমাল সাব ইউনিটের উপর কাজ করে
২.টিল্মাইকোসিন +নরফক্সাসিলিন
টিল্মিকোসিন এনরোফক্সাসিলিন এর সাথে দিলে কার্যকারিতা কমে যায় লিটারেচারে তাই লেখা আছে।নরফক্সসিলিনের সাথে দেয়া যাবে না তা কোথাও লেখা নাই।
তবে নরফক্সা বা এনরো,সিপ্রো গ্রাম নেগেটিভ। প্রজেটিভ ও মাইকোপ্লাজমার উপর কাজ করে।টিল্মিকোসিন ও কোইনোলন সবাই এক সাথে মাইকোপ্লাজমার উপর কাজ করতে গিয়ে ইন্টার একশন হয় কিনা! তাছাড়া টিল্মিকোসিন এল্কালাইন আর নরফক্সাসিলিন এসিডিক।
৩.টিল্মিকোসিন+কলিস্টিনঃ
টিল্মোকোসিন ক্ষার।কলিস্টিন নিউট্রাল।লিটারেচারে লেখা থাকে কলিস্টনের সাথে দিলে কলিস্টিনের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়।যদি ২টা ২ টাইমে দেয়া হয় তাহলে সমস্যা হবে নাো হতে পারে।
৪.টিল্মিকোসিন+ সি টি সি HCL
টিল্মিকোসিন ৫০রাবোসোমাল সাব ইউনিটের উপর কাজ করে।সিটিসি ৩০রাইবোসোমাল সাব ইউনিটের উপর কাজ করে।
টিল্মিকোসিন মেইনলি মাইকোপজমার বিরুদ্ধে কাজ করেসি টি সি প্রায় সব কিছুর বিরোদ্ধে অল্প করে কাজ করে।কিন্তু সি টি সি হাইড্রোক্লোরাড হিসাবে থাকে ফলে এসিডিক পরিবেশে ভাল করে অথচ টিল্মিকোসিন ক্ষারীয় পরিবেশে ভাল কাজ করে।
৫.টিল্মিকোসিন + ফ্লোরফনিকল
টিল্মিকোসিন ক্ষারীয় আর ফ্লোরফেনিকল নিউট্রাল।
টিল্মিকোসিন মাইকোপ্লাজমায় কাজ করে আর ফ্লোরফেনিকল গ্রাম নেভেগিভ অর্গানিজমের উপর কাজ করে।টিল্মিকোসিন ক্ষারীয় আর টিয়ামোলিন এসিডিয়।একদম উলটা।তাই ব্যাপার গুলো আলাদা হবে। তাছাড়া একই অরগানিজম এর বিরুদ্ধে কাজ করে তাই দেয়া ঠিক না।
বাংলাদেশের মত এত কম্বাইন্ড এন্টিবায়োটিক পৃথিবীর কোন দেশে ব্যবহার হয় বলে মনে হয় না।
নিয়ম হল সিংগেল এন্টিবায়োটিক দেয়া যদি দিতেই হয় তবে এমন এন্টিবায়োটিক দিতে হবে যেগুলোতে সমস্যা হবে না বা সন্দেহ নাই।
প্রতিটা ড্রাগেরই একটা নির্দিষ্ট পি এইচ,ইন্টার একশন,কম্পাবিলিটি থাকে।আমাদের দেশে সবাই যা মন চায় তাই দেয় কারণ দেয়ার পর ভিতরে কি হচ্ছে তা কেউ দেখে না।ব্রয়লার হলে ত বিক্রিই করে দেয় তাই এত মাথা ব্যথা নাই।আবার লেয়ার হলে সাথে সাথে সমস্যা হয় না বা সমস্যা হলেও বুঝা যায় না।টেস্ট করার সুযোগ ও নাই যে কি কাজ করলো বা না করবো।
নিওমাইসিন ও টিল্মিকোসিন এক সাথে দেয়া যাবে?দেয়া যাবে কারণ
১.মোড অফ একশন আলাদা
২.নিওমাইসিন সাল্মোনেলা ও ইক্লাই এর বিরুদ্ধে কাজ করে
আর টিল্মিকোসিন মাইকোপ্লাজমার
৩.২টি এন্টিবায়োটিক ব্যাসিক
৪.আমরা পড়ে আসছি স্ট্যাটিক ও সাইডাল দেয়া যাবে না।এটা ভুল। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেয়া যাবে না।
যেমন টেট্রাসাইক্লিন এর সাথে কোইনোলন ও পেনিসিলন গ্রুপ।ডেনাগার্ডের সাথে(টিয়ামোলিন) এর সাথে কসুমিক্স সারা পৃথিবীতে চলে। কসুমিক্স সাইডাল আর টিয়ামোলিন স্ট্যাটিক।
শুধু একটা পয়েন্টের উপর ভিত্তি করে বলা যায় না।
কয়েকটিবিষয়বিবেচনাকরতেহয়।
যেমন
এসিড বেস
মোড অফ একশন
অর্গানিজম
স্ট্যাটিক সাইডাল
কোম্পানীর নির্দেশনা(টেকনোলজি)
কম্পাবিলিটি(তলানি পড়ে কিনা)
এন্টাগ্নিজম সিনার্জেস্টিক।
শুধু সাইডাল স্ট্যাটিক দেখলে হবে না। বিস্তারিত জানতে হবে
.
নোট ১।তাছাড়া দেয়া যাবে না এমন কোন ইন্ডিকেশন নাই।
ডক্সিনিও,এন ডক্সি(ডক্সি ও নিওমাইসিন)ছিল
টাইলোসিন+কলিস্টিন প্রিপারেশন ছিল
এগুলো সব স্ট্যাস্টিক ও সাইডাল মিক্স।
তাছাড়া মাইক্রোনিডে আছে সাল্ফাডায়াজিন ও ট্রাইমিথোপ্রিম এক সাথে সাইডাল অথচ সাথে স্ট্যাটিক ইরাইথ্রোমাইসিন দেয়া আছে।
নোট ২।
স্ট্যাটিক আর সাইডাল এক সাথে দিলে যে সমস্যা টা হয় তা হল রেজিস্ট্যান্ট কারণ স্ট্যাটিক এন্টিবায়োটিক জীবানূ মারতে পারেনা ফলে সেটা রেজিস্ট্যান্ট হয়ে যায়।আবার সাইডাল মেরে ফেলে কিন্তু এক সাথে দিলে স্ট্যাটিক এন্টিবায়োটিক ৫০% জীবানূকে বাইন্ড করে যাদেরকে সাইডাল এন্টিবায়োটিক মারতে পারেনা।যেমন টেট্রাসাইক্লিন আর ফ্লোরোকোইনোলোন।
আবার নিওমাওসিন আর টিল্মিকোসিন এক সাথে দিলেও সমস্যা হবেনা কারণ আলাদা অর্গানিজমকে বাইন্ড করে তাই রেজিস্ট্যান্ট হবার সম্বাবনা নাই।তাছাড়া ২টিই এল্কালাইন।যদিও একটা স্ট্যাটিক আরেক্তা সাইডাল।তাই কথায় কোন যুক্তি দেয়ার সুযোগ নাই।ইস্লামে চুরি করলে হাত কাটা যাবে।এটা মিথ্যা আরার সত্য।যদি বড় চুরি করে তাহলে হাত কাটা যাবে কিন্তু যদি দূর্ভিক্ষের সময় অভাবের কারনে ছোট চু্রি করে তাহলে হাত কাটা যাবে না।
ফার্মসএন্ডফার্মার/ ০৪অক্টোবর ২০২২