চাঁদপুর : এ বছর চাঁদপুরে ৫৫ হাজার ৬৫২ মে. টন ভুট্টা উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৬ হাজার ১০৮ হেক্টর জমিতে। চাঁদপুরে সাধাণতঃ আলু ফসল ঘরে তোলার সাথে সাথেই ওই জমিতে চাষিরা ভুট্টাচাষ করে থাকে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ি চাঁদপুরের সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর সদরে চাষাবাদ হবে ১৯৮ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৮০৪ মে.টন।মতলব উত্তরে চাষাবাদ হবে ১ হাজার ৯০০হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ হাজার ৩০৯ মে.টন। মতলব দক্ষিণে চাষাবাদ ২ হাজার ৫২০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২২ হাজার ৯৫৭ মে.টন। হাজীগঞ্জে চাষাবাদ ১৪৫ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৩২১ মে.টন। শাহরাস্তিতে চাষাবাদ ৫ হেক্টর এবং উৎপাদন ৪৫ মে.টন। কচুয়ায় চাষাবাদ ১ হাজার ২০৫ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ হাজার ৯৯৮ মে.টন। ফরিদগঞ্জে চাষাবাদ ১৩৫ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ২৩০ মে.টন। হাইমচরে এবার চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নেই ।
চাঁদপুর সদরের বাগড়া এলাকার কৃষক আ. লতিফ সর্দার জানান, আবহাওয়ার অনুকূল পরিবেশ, পরিবহনে সুবিধা, কৃষি বিভাগের উৎপাদনের বিভিন্ন উন্নত প্রযুক্তি প্রদান, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি, কৃষিউপকরণ পেতে সহজলভ্যতা, বীজ, সার ও কীটনাশক ব্যবহারে কৃষিবিদদের পরামর্শ, ব্যাংক থেকে কৃষিঋণ প্রদান ইত্যাদি কারণে চাঁদপুরের চাষিরা ব্যাপক হারে ভুট্টাচাষের দিকে ঝুঁকছে। বিশেষ করে চাঁদপুরের মতলবে ব্যাপক ভুট্টা উৎপাদন করে থাকে চাষিরা।
মতলবের চরইলিয়টের চাষি সৈয়দ আলী মিয়া জানান, ব্যাংগুলো চাষিদের সঠিক সময় ঋণ সহায়তা দিলে চরাঞ্চলগুলোতে ভুট্টাচাষ আরো বৃদ্ধি করা সম্ভব। মতলবের চরইলিয়ট, চর কাসিম, ষষ্ট খন্ড বোরোচর, বোরোচর, চাঁদপুর সদরের রাজরাজেস্বর, জাহাজমারা, লগ্মীমারা, বাঁশগাড়ি, চিড়ারচর, ফতেজংগপুর, হাইমচরের ঈশানবালা, চরগাজীপুর, মনিপুর, মধ্যচর, মাঝিরবাজার, সাহেববাজার ও বাবুরচর এলাকা গুলোতে ভুট্টা চাষ আরো বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে এবং চাঁদপুরে ভুট্টা উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পাবে এবং এ এলাকার কৃষকরা লাভবান হবে।
চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আলী আহমেদ জানান, চাঁদপুরে এইবার ভুট্টাউৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৫৫ হাজার ৬৫২ মে.টন নির্ধারণ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কোন সমস্যা হবে না। আমাদের এ অঞ্চলের কৃষকরা আন্তরিক আছে, তারা কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে উন্নত জাতের বীজের আবাদ করে তাই উৎপাদন ও ভালো হয়। বেশিরভাগ চাষি আলুর সাথে বা একটু পরে সেই জমিতেই আবাদ করে তাই উৎপাদন ভালো হয়।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন