জেলায় চলতি বছর আখের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৬ হেক্টর বেশি জমিতে আখের আবাদ সম্পন্ন হয়েছে।
মোট ৭৬০ হেক্টর জমিতে আবাদকৃত আখের ফলন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩২ হাজার ৫৮০ মে:টন। আর গত বছর প্রতি হেক্টরে উৎপাদন ছিলো ৪৫ মে. টন করে। সাধারনত আখের রোগ-বালই কম হওয়াতে পরিশ্রমও তেমন হয় না। এখন দাম ভালো পাওয়ায় অনেক কৃষকরাই আখ চষে আগ্রহী হয়ে উঠছে।
কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, ভোলায় কালী বোম্বাই, বোম্বাই, ২০৮, বাসপাতা জাতের আখের চাষ বেশি হয়। প্রায় বছরকালীন মেয়াদের ফসল আখ গত বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরের দিকে ক্ষেতে রোপন করেছেন কৃষকরা। সেপ্টেম্বর থেকে অনেক স্থানে আগাম কর্তন শুরু হলেও অক্টোবর পর্যন্ত ফসল তুলবে চাষিরা। তবে বর্তমানে বাজার দর বেশি পাওয়ায় প্রথম দিকের আখ রোপনকারীরা লাভবান হচ্ছেন বলে সূত্র জানায়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক প্রসান্ত কুমার সাহা বলেন, জেলায় সাধারনত ব্যাপক আকারে আখ চাষ হয়না। তবে সাম্প্রতিক সময়ে চাষ কার্যক্রম বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ৫ বছরে প্রায় ২’শ ২৫ হেক্টর জমি বৃদ্ধি পেয়েছে আখ চাষের। চাষিদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পারদর্শী করা হচ্ছে। এছাড়া চারা রোপন, রোগ-বালাই দমন, সার প্রয়োগসহ নানান পরামর্শ সেবা দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, জেলার মোট আবাদকৃত আখের মধ্যে সদর উপজেলায় ৯০ হেক্টর জমি, বোরহানউদ্দিনে ১২৫ হেক্টর, দৌলতখানে ১৫ হেক্টর, তজুমুদ্দিনে ৩০ হেক্টর, লালমোহনে ৬৫ হেক্টর, চরফ্যাসনে ৪২৫ হেক্টর ও মনপুরায় ১০ হেক্টর জমিতে আখের চাষ হয়েছে। সাধারনত ব্যাপরীরা কৃষকদের ক্ষেত থেকেই আখ কিনে নিয়ে আসে। বর্তমানে একটি ভালো মানের আখ ৫০ টাকার উপরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
সদর উপজেলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের আখ চাষি জামাল হোসেন ও রাসেল মিয়া বলেন, আখে সাধারনত লাল পচা নামক রোগ হয়। তবে এবছর রোগের উপদ্রব তেমন ছিলোনা। তাই তাদের ফলন ভালো হয়েছে ৫ হেক্টর জমিতে। আগামী ৪/৫ দিনের মধ্যেই তাদের ফসল কর্তন শুরু হবে। এছাড়া কৃষি বিভাগ থেকে নিয়মিত পরামর্শ সেবা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তারা।
কৃষি কর্মকর্তা মৃত্যুঞ্জয় তালুকদার জানান, জেলায় গত ২০১২-১৩ অর্থবছরে আখ চাষ হয়েছিলো ৫৩৬ হেক্টর জমিতে। ২০১৩-১৪ বছরে ৪৪ হেক্টর জমি বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৫৮০ হেক্টর। ২০১৪-১৫ বছরে হয়েছে ৬১৩। ১৫-১৬ অর্থবছরে চাষ হয়েছে ৭০৫ হেক্টর জমি ও ১৬-১৭ বছরে হয়েছে ৭৬০ হেক্টর জমিতে। প্রতিবছরই জেলায় আখ চষের জমির পরিমাণ বাড়ছে। সূত্র: বাসস
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/এম