এ বছর চাহিদা পূরণে দেশি গরুতেই ভরসা রাখছেন প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়

359

cattle-hut-10.09.16

কুরবানির পশুর চাহিদা মেটাতে এ বছর দেশি গরুতেই ভরসা রেখেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। তাদের হিসেবে, চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত আছে প্রায় ৬ লাখ পশু।

এদিকে খামারিদের দাবির প্রেক্ষিতে এবারও প্রতিবেশি দেশগুলো থেকে অবৈধ পথে গরু আসা বন্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। নজরদারি আছে, ক্ষতিকর স্টেরয়েডের ব্যবহার বন্ধেও।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বলছে, এ বছর কুরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা এক কোটি ১৬ লাখ ২৭ হাজার। যার বিপরীতে চাহিদা এক কোটি ১০ লাখ পশুর। সে হিসেবে প্রায় ৬ লাখ পশু অতিরিক্ত আছে। তবে গেলো বারের চেয়ে এবার গরু মোটাতাজাকরণের সংখ্যা বেড়েছে। তাই এ বছর প্রতিবেশী দেশের গরুর ওপর নির্ভর করতে হবে না বলে দাবি করছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।

কুরবানির হাটে এবার পর্যাপ্ত পশু থাকবে বলেও আশ্বস্ত করেছেন সংস্থার মহাপরিচালক ডা. হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক।

তিনি বলেন, কুরবানির পশুর যোগান দেয়ার জন্য আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। এটা আমাদের নিজস্ব উৎপাদন। অবৈধভাবে দেশে কোনও পশু প্রবেশ করবে না এটাই সিদ্ধান্ত হয়েছে আমাদের আন্তঃবৈঠকে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে বিজিবিকে সেভাবে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, “স্টেরয়েড ব্যবহার না করার জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। এবং স্টেরয়েড ব্যবহারের কুফল সম্পর্কে জানিয়েছে। তার প্রেক্ষিতে খামারি পর্যায়ে প্রায় স্টেরয়েডের ব্যবহার বন্ধ হয়ে গেছে। পাইকারিভাবে যারা ঈদের মাসখানেক আগে গরু কিনে লালন পালন করছে তারা স্টেরয়েড ব্যবহার করছে কিনা তার উপর কঠোর নজরদারি করা হয়েছে।”

তবে গণমাধ্যমের ব্যাপক প্রচারের কারণে খামারিরাও এখন ক্ষতিকর ওষুধ ব্যবহার না করার বিষয়ে অনেক সচেতন বলে দাবি করলেন তিনি।

তাই কুরবানির হাটে এবার স্বাস্থ্যসম্মত পশুই থাকবে বলে আশ্বস্ত করলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন