ওটস খাওয়া প্রয়োজন কেন?

981

ওটসমিল

স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে ওটস-এর চল বহুদিনের। তাই এটি ‘কমপ্লিট মিল’ বা ওটমিল বলেও পরিচিত। ওটস গাছের দানা, লতাপাতা, কাণ্ড – সবকিছুই রোগ সারাতে কাজে লাগে। এ কারণেই একে ২০১৭ সালের শ্রেষ্ঠ ভেষজ উদ্ভিদ ঘোষণা করেছে জার্মানি ৷

২০১৭ সালের শ্রেষ্ঠ ভেষজ উদ্ভিদ
ত্বক, পেটের নানা সমস্যা, বিভিন্ন ধরনের বাত, ডায়বেটিস টাইপ-টু ইত্যাদি রোগের সমাধান করতে ওটমিলের জুড়ি নেই। এ সব কারণেই জার্মনির ভ্যুর্ৎসবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেষজ উদ্ভিদ উন্নয়ন বিষয়ক বিভাগ থেকে ২০১৭ সালের শ্রেষ্ঠ ভেষজ উদ্ভিদ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে ওটস-এর নাম।

ওটস-এর দানা
ওটস-এর দানায় রয়েছে প্রচুর জিঙ্ক, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়া এতে থাকা আয়রন রক্তকণা তৈরি এবং শরীরের ভেতরে অক্সিজেন যাতায়াতে সহায়তা করে থাকে৷ তাছাড়া কোলেস্টরেল ও রক্তে শর্করার মাত্রাকে স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে ওটস।

আরো যা করে
জার্মানরা একে বলেন ‘হাইলক্রয়টার’৷ অর্থাৎ ওটস-এর চারা হলো রোগ সারানোর একটি ঔষধি গাছ, যা বাতের ব্যথা, শরীর চুলকানো ও বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে শরীরকে দূরে রাখে।

ভালো ফল পেতে

ওটস-এ থাকা ভিটামিন ‘সি’ এবং প্রোটিন আয়রনের গ্রহণক্ষমতা সহজ করতে পারে। তবে তার জন্য একে একটু দুধ বা দইয়ের সাথে মিশিয়ে খেতে হবে। চাইলে তার সঙ্গে কমলা বা অন্যান্য ফলো যোগ করতে পারেন।

সকলের জন্য ওটমিল
একটু গরম পানিতে ওটস কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। খানিকটা আঠার মতো ওটমিল শরীরে শক্তি বেশি দেয় এবং এতে থাকা অতিরিক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড পেটের সমস্যা বা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। তাছাড়া এভাবে শিশুরাও খুব সহজেই খেতে পারে ওটমিল।

ওটের কচি চারাগাছের পানিতে গোসল
গাছে ফুল পুরোপুরি ফোটার আগেই এই চারাগাছ তুলে ফেলতে হয়। এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে পেকটিন, অলিগো, সোপোনিন, ক্যালসিয়াম, অতিরিক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ধাতব পদার্থ। জার্মনির স্বাস্থ্য বিষয়ক কার্যালয়ের পরামর্শ, এই উদ্ভিদের ভেজানো পানি দিয়ে গোসল করলে বাত এবং ত্বকের চুলকানো, একজিমা ও অন্যান্য সমস্যা দূর হয়।

ওটের ঔষধি পাতা
চারাগাছের মতোই ফুল ফোটার ঠিক আগে ওট গাছের কচি পাতা শুকিয়ে নিন এবং পরে চায়ের মতো পান করুন। এছাড়া নার্ভাসনেস, পেটের গণ্ডগোল, ঘুমের সমস্যা, গেঁটেবাত কিংবা কিডনির সমস্যাকে দূরে রাখতে এ ধরনের এক চামচ চা ২৫০ গ্রাম ফুটন্ত পানিতে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে ধীরে ধীরে পান করুন।

ওটমিল ড্রিংক’
স্বাস্ব্য সচেতন ও নিরামিষাশীদের জন্য ওটমিল ড্রিংক বেশ উপকারী৷ জার্মনিতে ‘তৈরি’ ওটস-এর এমন ড্রিংক বাজারেই পাওয়া যায়। তবে ইচ্ছে করলে আপনি ঘরেই খুব সহজে তৈরি করে নিতে পারেন ওটমিল ড্রিংক। সূত্র:ডিডব্লিউ

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন