কবুতরের ঘাড় বাঁকা রোগের প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

7
কবুতরের টাল রোগ বা ঘাড় বাঁকা রোগ

 

আজ যেটা নিয়ে আলোচনা করবো সেটা হলো কবুতরের head twist বা ঘাড় বাঁকা রোগ। এই রোগটা একটা দীর্ঘ মেয়াদী রোগ। অনেকের এটার প্রতি ভুল ধারনা রয়েছে, সেটা হলো- প্রায় অনেকেই মনে করেন এটা সর্বজনীন একটা রোগ। তার মানে জীবনেও ভালো হবে না।

আসলে সেটা তাদের নিতান্তই ভুল ধারনা। সব রোগের মত এটাও ভালো করা সম্ভব।রোগ হওয়ার কারনঃ- কবুতরের শরীরে যখন PARAMYXOVIRUS এর আবির্ভাব ঘটে তখনি মূলত এই রোগটা দেখা দেয়। আর এই ভাইরাস টা অধিকতর ক্ষেত্রে ভিটামিন এর অভাবে হয়ে থাকে।

এমনকি দীর্ঘ দিন অসুখের ফলে উচ্চ মাত্রার এন্টিভায়োটিক অধিক ও দীর্ঘকাল ব্যাবহার এর ফলে এই রোগটা দেখা দেয় এবং শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এবং কি উল্টা পাল্টা ঔষধ প্রয়োগ বা না বুজে ঔষধ প্রয়োগের ফলে এই সমস্যা হয়ে থাকে।

লক্ষনঃ

কবুতরের ঘাড় উল্টে যাবে, ঘাড় ঘুরাতে থাকবে, ঝাকুনির মত ঘাড় নাড়াবে এবং ঘাড় এ অন্যান্ন লক্ষন ও দেখা দিতে পারে। কবুতর খাদ্য খেতে সমস্যা হবে।করনীয়ঃ- কবুতর কে অবশ্যই HAND FEED দিতে হবে, সেক্ষেত্রে আপনি তরল জাতীয় খাবার ব্যাবহার করতে হবে। শক্ত খাবার ও দিতে পারেন। একেবারে বেশী না দিয়ে কয়েকঘন্টা পর পর অল্প অল্প করে খাওয়াতে পারেন।

ঔষধঃ

NEOBION অথবা NEORO-B অথবা NEOROBION.যেই কোন একটা ইঞ্জেকশন ব্যবহার করুন।

মাত্রা বা প্রয়োগ বিধিঃ- এক সিসির তিন ভাগের এক ভাগ করে প্রতিদিন ভোরে বুকের মাংসে প্রয়োগ করুন। কবুতরের আকার অনুযায়ী মাত্রা বাড়াতে পারেন সর্বোচ্চ আধা সিসি পর্যন্ত। তবে অবশ্যই ইন্সুলেন এর সিরিঞ্জ ব্যাবহার করবেন। তবে দেখবেন ইঞ্জেকশন যেনো চামড়ার নিচে না পড়ে অবশ্যই মাংসে পড়ে। চামড়ায় নিচে পড়লেই ফুলে যেতে পারে। প্রত্যেকদিন বুকের এক পাশে দিবেন না। খেয়াল করে এক দিন এক পাশে প্রয়োগ করবেন।** ইঞ্জেকশন এর ডোজ টা ১২ থেকে ১৫ দিন দিতে থাকেন। এবং সর্বদা দৈনিক ২ থেকে ৩ ঘন্টা রোদে দিন। সর্বশেষ ভাল হওয়ার পরে ৭ দিন ক্যালপ্লেক্স এবং ভিটামিন ডি এক সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে, ক্যলসিয়ামের সাথে ভিটামিন ডি না দিলে ক্যলসিয়াম শরীরে ঠিকমতে শোষিত হয় না।বিঃ দ্রঃ- সবসময় নিবিড় পর্যবেক্ষণ এ রাখবেন।