কবুতর যে কয়েকটি রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে তার মধ্যে অন্যতম হলো পক্স জাতীয় রোগ। কবুতরের পক্স রোগের কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা পদ্ধতি নিচে তুলে ধরো হলো।
কারণ: পক্স সব ধরণের পাখির একটি সাধারণ ভাইরাল রোগ। এটি cutaneous বা ডিপথেরিক আকারে হতে পারে। অন্তত ১৬ টি বিভিন্ন প্রজাতির Avipoxviruses আছে।
পিজিয়ন পক্স একটি বিশ্বব্যাপী রোগ। এটি অসুস্থ পাখি বা যান্ত্রিক সংক্রমণ মাধ্যমে ঘটে। এছাড়া কীটপতঙ্গ কামড় দ্বারাও এ ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে থাকে।
লক্ষণ: পালকহীন ত্বক বিশেষ করে চোখ, ঠোঁটের চারপাশে এবং পায়ে ক্ষত বা পক্স দেখা যায়।
চিকিৎসা: এন্টিবায়োটিক, এমাইনো এসিড, ভিটামিন-এ এবং সি, ইমিউনো স্টিমুলেটর, টপিক্যাল ওয়েন্টমেন্ট। তবে এখন অনেক আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে সেগুলোও অনুসরণ করা যেতে পারে।
এ রোগে আক্রান্ত হলে খামারের পাশে প্রাণি সম্পদ অফিসে গিয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য জেনে আসা উচিত। যেসব কারণে রোগটি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেসব বিষয়ে সচেতন থাকলে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে আসবে।
প্রতিরোধ: ভ্যাকসিনে সরবরাহকৃত সুই ডুবিয়ে নিয়ে এবং ত্বকের মাধ্যমে এর টিপ টি ধুয়ে ফেলে একটি ছোট ‘রক্ত ঝরানো’ তৈরি করে টিকা দিতে হয়। একটি টিকা জীবনকালের জন্য ইমিউনিটি প্রদান করে, তাই এক মাত্রাই যথেষ্ট।
কবুতরের পক্স রোগের কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা পদ্ধতি সংবাদটির তথ্য প্রাণি সম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর লাইভস্টক ডায়েরি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।
কবুতর পালন করতে গিয়ে আপনাদের যে কোন সমস্যা হলে আমাদের জানাতে পারেন। আমাদের বিশেষজ্ঞ টিম এ বিষয়ে সঠিক পরামর্শ দিয়ে আপনাদের সহযোগিতা করতে পারবে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/ ১২সেপ্টেম্বর ২০২১