কবুতর পালন করতে গিয়ে শুরুতেই অনেকে ভুল করে ফেলেন। ফলে প্রত্যাশিত সফলতা লাভ করতে পারেন না। তাই কবুতর পালনের প্রাথমিক বিষয়গুলো জেনে নিতে হবে। এসব বিষয়ের মধ্যে রয়েছে কবুতর রোগে আক্রান্ত হলে প্রাথমিকভাবে কি করতে হবে সেসব বিষয় সম্পর্কে জেনে নেওয়া।
একটা বিষয় লক্ষ্য করে দেখা গেছে যারা কবুতর পালন করেন তারা প্রাথমিক অবস্থায় এর রোগ এবং তার প্রতিকার সম্পর্কে খুব একটা জ্ঞান রাখেন না। অথচ সামান্য একটু বিচক্ষণতার পরিচয় দিলে আপনি নিজের প্রিয় কবুতরটিকে রোগে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা দিয়ে সারিয়ে তুলতে পারেন।
কবুতর রোগাক্রান্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে স্যালাইন (ইলেক্ট্রোমিন) এবং রাইস স্যালাইন (কলেরা রোগের চিকিৎসায় ব্যবহারযোগ্য যেকোন রাইস স্যালাইন) এই দুটি ওষুধ খাওয়াতে হবে। এগুলো খুবই স্বল্প মূল্যের সাধারণ ঔষধ। এতে কবুতর দ্রুত সেরে উঠবে। কবুতর পালনের প্রথম দিন থেকেই, কবুতরের সঙ্গী হিসেবে এই দুটি জিনিস বাড়িতে নিয়ে আসা উচিত।
কবুতরের ড্রপিংস পাতলা হলে, খাবার হজম না হলে, কবুতর না খেলে, বা খাবারের পর বমি করে খাবার ফেলে দিলে এবং এর সঙ্গে যখন তার মাঝে ঝিমুনির ভাব দেখা দেবে তখন রোগ সনাক্ত করে চিকিৎসার জন্য চেষ্টার শুরুতে কবুতরকে রাইস স্যালাইন খাইয়ে দিয়ে হবে।
অসুস্থতা দেখা দিলেই আগে আপনার কবুতরকে খাবার দিতে হবে। কবুতরের পানি শূন্যতা যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। খাবার পেলে কবুতর রোগের বিরুদ্ধে টিকে থাকবার জন্য হলেও শক্তি পাবে।
কবুতরকে খাবার স্যালাইন দিতে হবে যে পদ্ধতিতে
১০ মিলি কুসুম গরম পানিতে ১ গ্রাম রাইস স্যালাইন মিশিয়ে সিরিঞ্জ দিয়ে খাইয়ে দিতে হবে। দিনে ৩ থেকে ৪ বার। অথবা ২ ঘণ্টা পরপর স্যালাইন দিতে হবে। অন্যদিকে ৫ মিলি কুসুম গরম পানিতে ১ গ্রাম রাইস স্যালাইন দিতে হবে। এভাবে যত্ন নিলে রোগাক্রান্ত কবুতর দ্রুত সেরে উঠবে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/ ১১ ডিসেম্বর, ২০২২