কম খরচে কেঁচো সার তৈরি হচ্ছে পঞ্চগড়ে

495

কেঁচো সার
পঞ্চগড় : জেলায় খাদ্য নিরাপত্তায় সুশাসন প্রকল্পের মাধ্যমে তিনটি ইউনিয়নে কম খরচে কেঁচো সার তৈরি হচ্ছে। কম খরচ হওয়ায় এ সারের ব্যবহারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতোমধ্যে মধ্যে প্রায় ৭০ টি পরিবারের মধ্যে কেঁচো সার তৈরীর জন্য রিং ও কেঁচো সরবরাহ করেছে আরডিআরএস বাংলাদেশ।

কৃষি বিশেষজ্ঞের মতে, এ সার জমিতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের সঠিক মাত্রায় সরবরাহের মাধ্যমে জমির উর্বরতা শক্তি এবং মাটিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। পাশাপাশি মাটির পানির ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং মাটির নাইট্রোজেন যোগ করে মাটির অম্ল-ক্ষার ভারসাম্য ঠিক রাখে। ফসলের শিকড় বৃদ্ধি ও বীজের অংকুরোদগম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কম খরচে কেঁচো সার ব্যবহারের ফলে পরিবেশের ভারসাম্যরক্ষা হয়।

সাধারণত রিং/চারির মধ্যে ১৫/২০ দিনের পঁচা গোবর রি/চারির মধ্যে দিয়ে এপিজিয়েট জাতের কেঁচো ছেড়ে দিলে ২০/২৫ দিনের খাবার ক্ষেয়ে সার তৈরী করে ফেলে। এটি সাধারণত চা এর দানার মতো যখন তৈরী হয়। এবং গোবরের কোন গন্ধ থাকে না তখন বুঝতে হবে সার তৈরি হয়েছে। তখন তা চালুনি দিয়ে চেলে সার সংগ্রহ করা যায়।

জেলার কেঁচো সার তৈরি হচ্ছে তিনটি ইউনিয়নে। তা হলো- ধাক্কামারা, হাফিজাবাদ ও হাড়িভাসা। ধাক্কামারা ইউনিয়নের নুরজাহান বেগম বলেন, এই সার দিয়ে সবজি চাষ করে খুব ভাল সবজি হয়েছে। সবজি চাষে তেমন কোন রোগের আক্রমণ হয় না।

1হাড়িভাসার ইউনিয়নের আবুল কাশেম আলীজানান, তিনি কেঁচো সার ব্যবহার করে টমেটো চাষ করেন এবং টমেটোর ফলন ভাল হয়েছে। তার টমেটো ক্ষেতে গোরা পঁচা রোগ হয়নি।

আরডিআরএস বাংলাদশ খাদ্য নিরাপত্তায় সুশাসন প্রকল্পের কৃষি কর্মকর্তা ফিরোজ বুলবুল বলেন, আমরা কম খরচে এ সার ব্যকৃষকদের বিভিন্ন সময় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তারাও বিভিন্ন সময় আমাদের পরামর্শ দিচ্ছেন।

4th International Exhibition on Dairy, Aqua & Pet-2018 Start on 8th March

৪র্থ আন্তর্জাতিক ডেইরি, মৎস্য ও পোষাপ্রাণি মেলা ও সেমিনার শুরু ৮ মার্চ

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন