কলমি শাকে রয়েছে নানান ভেষজগুণ

1368

কলমি শাক

কলমি লতাজাতীয় উদ্ভিদ। এরা ভেজামাটি, স্যাঁতসেঁতে স্থান ও পানিতে জন্মে। কলমির আদিনিবাস কোথায় তা সঠিকভাবে জানা যায়নি। তবে বিশ্বের ক্রান্তীয় ও উপক্রান্তীয় অঞ্চলে কলমি বেশি জন্মে।

পাতা জাতীয় সবজি হিসেবে কলমি খুবই পরিচিত ও জনপ্রিয়। গাছ দ্রম্নত বর্ধনশীল, তাই এর বৃদ্ধি ও বংশ বিস্তার দ্রম্নত ঘটে। আমাদের দেশের পুকুর, মজাপুকুর, ডোবা, খাল-বিল ও ঝিলে অনায়াসে কলমি জন্মাতে দেখা যায় এবং তা চোখে পড়ার মতো। এর লতা লম্বায় ৮ থেকে ১০ ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে। লতায় গিট থাকে গিট বা পর্ব থেকে শেকড় বের হয়। কলমি লতার ভেতর অংশ ফাঁপা তাই পানিতে ভেসে থাকতে পারে।

এর লম্বাকৃতির সবুজ পাতা, গঠনে ত্রিকোণাকার বা বলস্নাকার, লম্বায় ৫ থেকে ১০ সেন্টিমিটার এবং চওড়ায় ২ থেকে ৫ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে। এর ফুল খুবই নজরকাড়া। সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দেয় সাদা-বেগুনি মিশ্র রঙের ফুল। ফুলের প্রায় বেশিরভাগ অংশই সাদা- তবে গোড়ার দিকের অংশ বেগুনি রঙের। ফুল অনেকটা ট্রাম্পেট আকৃতির এবং ৩ থেকে ৫ সেন্টিমিটার চওড়া। ফুল গন্ধহীন। ফুল ফোটার প্রধান মৌসুম হেমন্তকাল।এ ছাড়া বছরের অন্যান্য সময়ে কম পরিমাণে ফুল ফোটতে দেখা যায়। ফুল শেষে গাছে বীজ হয়। বীজ ও লতা কাটিংয়ের মাধ্যমে খুব সহজে এর বংশ বিস্তার করা যায়।

কলমি শাকের রয়েছে ভেষজ নানান গুণাগুণ। মূত্রবর্ধক, ডায়াবেটিস রোগে কার্যকর। বসন্তের প্রতিষেধক হিসেবে কলমি শাকের গুণাগুণ রয়েছে অনেক। পুষ্টিগুণ বিবেচনায় এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ‘এ’- যা চোখের দৃষ্টিশক্তি অক্ষুণ্ন রাখতে কার্যকর। তা ছাড়া রয়েছে ‘সি’, প্রোটিন, শর্করা, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, কপার, জিংক, সিলিনিয়াম ইত্যাদি উপাদান। যা মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ ও পুষ্টি ঘাটতিজনিত সমস্যায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেেএইচ