কাঁকরোল পুষ্টিকর ও জনপ্রিয় সবজি। কাঁচা কাঁকরোল তরকারি, ভাজি ও ভর্তা হিসেবে খাওয়া যায়। এতে প্রচুর ক্যালসিয়াম, ক্যারোটিন, ভিটামিন বি, আমিষ, শ্বেতসার ও খনিজ পদার্থ আছে। তাই জমি, বাড়ির আঙিনা, ছাদে বা টবে এ সবজি চাষ করতে পারেন। আসুন জেনে নেই কাঁকরোল চাষের পদ্ধতি-
মাটি: সব ধরনের মাটিতে চাষ করা যায়। তবে দো-আঁশ, এঁটেল-দো-আঁশ মাটি চাষের জন্য উত্তম। চাষের জন্য পানি জমে না, উঁচু বা মাঝারি উঁচু জায়গা দরকার।
জমি তৈরি: চাষের জন্য মাটি ঝুরঝুরে করে নিতে হবে। এরপর চাষের জমিতে প্রয়োজনীয় মাপের মাদা তৈরি করতে হবে। প্রত্যেক মাদায় ৪-৫টি বীজ বপণ করতে হবে।
জাত: কাঁকরোলের বিভিন্ন জাত রয়েছে। এরমধ্যে আসামি, মণিপুরি, মুকুন্দপুরি ও মধুপুরি অন্যতম। এসব জাতের ফলগুলো খেতে বেশ সুস্বাদু এবং ফলনও বেশি।
সার প্রয়োগ: পরিমাণমতো পচা গোবর, ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি, জিপসাম দিতে হবে। রোপণের সময় অর্ধেক ইউরিয়া, অর্ধেক এমওপি এবং অন্যান্য সার মাটিতে মিশিয়ে দিতে হবে। বাকি অর্ধেক ইউরিয়া ও এমওপি সমান ২ কিস্তি করে গাছ বাড়ার সময় ১ বার এবং ফুল আসার পর দিতে হবে।
পরিচর্যা: চারা গজানোর পর আগাছা নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। অবস্থা বুঝে পানি দিতে হবে। তবে জমিতে যেন অতিরিক্ত পানি না জমে। জমলে বের করে দিতে হবে। গাছ ১০-১৫ সেন্টিমিটার লম্বা হলে গোড়ায় বাঁশের কঞ্চি বা কাঠি পুঁতে দিতে হবে। গাছ ৫০ সেন্টিমিটার লম্বা হলে মজবুত মাচা তৈরি করে দিতে হবে।
রোগবালাই: জাবপোকা, মাছিপোকা ও বিছাপোকা গাছের পাতা, ফুল ও ফল নষ্ট করে। কচি কাণ্ডের রস শুষে নেয়। এসব পোকার আক্রমণ হলে কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও চারা ঢলে পড়া, পাউডারি মিলডিউ ও মোজাইক হলে কচি গাছের গোড়া পচে যায় এবং চারা ঢলে পড়ে। সেক্ষেত্রে আক্রান্ত গাছগুলো তুলে পুতে বা পুড়িয়ে দিতে হবে।
সংগ্রহ: কাঁকরোল হলুদ সবুজ হলেই সংগ্রহ করা যায়। রোপণের দেড়-দুই মাসের মধ্যে ফুল দিতে শুরু করে। পরাগায়নের ২ সপ্তাহের মধ্যে সংগ্রহের উপযোগী হয়।
ফার্মসএন্ডফার্মার/৩১আগস্ট২০