কাঁঠালের ফল ও কাণ্ড ছিদ্রকারী পোকার দমন

733

89551854_1399324970240474_623931471047950336_n
কাঁঠালের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এর বহুমুখিতা। ]কাঁচা বা আধা পাকা অবস্থায় এটিকে সবজি হিসাবে এবং পাকা হলে ফল হিসাবে খাওয়া যায়। এটি ডিপ ফ্রাই করে কোফতাতে , শুকিয়ে চিপস হিসাবে ভেজে ও আচার করা যায়। রোদে শুকানো বীজগুলি তরকারী হিসেবে খাওয়া হয় বা ভুনা এবং স্ন্যাকস হিসাবে খাওয়া যায়। এমনকি এর ভেতরের অংশও কখনও কখনও রান্না করা হয়। পাকা ফলটি মিষ্টি, সিরাপ, জ্যাম এবং চাটনিতে ব্যবহৃত হয়।

কাঁঠালের ফল ছিদ্রকারী পোকার দমনব্যবস্থা

কাঁঠালের ফল ছিদ্রকারী পোকা অত্যন্ত ক্ষতি কারক। পূর্ন বয়স্ক পোকা কাঁঠালের গায়ে ডিম পাড়ে। ডিম ফুটে বের হওয়া লার্ভাটি ফলের ভিতরে প্রবেশ করে। প্রাথমিক অবস্থায় ছোট ছিদ্রকারী পোকার তাজা বিষ্টা দেখা যায়। এটি দেখে এই রোগের উপস্থিতি নিশ্চিত করা যায়। ধীরে ধীরে ছিদ্র বড় হতে থাকে এবং পরবর্তীতে ছত্রাকের আক্রমন পরিলক্ষিত হতে থাকে। অক্রান্ত স্থানে পচন ধরে এবং কাঁঠাল আশিংক বা সম্পূর্ণ বিনষ্ট হতে পারে।

প্রতিকার

১) বাগান সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। আক্রান্ত কাঁঠাল মাটিতে পুঁতে ধ্বংস করে ফেলতে হবে।

২) এই রোগ দুনে নিমের তেল বেশ কার্যকরী। নিম তেল (প্রতি লিটার পানিতে ১০ মিলি হারে) + ট্রিক্‌স ৫ মিলি মিশিয়ে নিয়মিত স্প্রে করতে হবে।

৩) ব্যাপক আক্রমন হলে প্রতি লিটার পানিতে ২ মিলি হারে ডাইমেথোয়েট জাতীয় কীটনাশক ফুট পাম্পের সাহয্যে স্প্রে করতে হবে।

কান্ড ছিদ্রকারী পোকার দমনব্যবস্থা
এ পোকা গাছের কান্ড ছিদ্র করে ভিতরের অংশ খেয়ে গাছের ফলন কমিয়ে দেয়, সবশেষে গাছটি মারা যায়।

লক্ষণ
এ পোকার আক্রমণে গাছের কাণ্ডে ছিদ্র পরিলক্ষিত হয়। এছাড়াও গাছের কান্ডে মালার মতো ঝুল লেগে থাকে।

প্রতিকার
১) গর্ত পর্যবেক্ষণ করে পোকা মেরে ফেলতে হবে।

২) গর্তে মুখে প্যারাডাইক্লোরোবেনজিন প্রবেশ করিয়ে এর মুখে মাটি দিয়ে বন্ধ করে দিতে হবে।

৩) সিরিঞ্জের মাধ্যমে কেরোসিন মিশ্রিত পানি বা কীটনাশক মিশ্রিত পানি ছিদ্রের ভিতরে প্রবেশ করিয়ে ছিদ্রের মুখ কাদা মাটি দিয়ে লেপে ভিতরের অবস্থিত পোকা মারা যাবে।

৪) ছিদ্রের ভিতর লোহার শলাকা ঢুকিয়ে পোকা মারার ব্যবস্থা করতে হবে।

৫) চিকন ধাতব তার বা পেরেক গর্তে প্রবেশ করিয়ে মারার ব্যবস্থা করতে হবে।

ফার্মসএন্ডফার্মার/১৭মার্চ২০