সেখ জিয়াউর রহমান, রংপুর প্রতিনিধি: উপজেলা পরিষদের আর্থায়নে এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কারিগরি সহযোগিতায় সমন্বিত কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ প্রকল্পের কৃষকদের শতভাগ বালুতে চাষকৃত মিষ্টিকুমড়া ও স্কোয়াশ’র ওপর এক মাঠ দিবস আজ (৬ মার্চ) রংপুরের কাউনিয়ার তিস্তার চরে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. মাহফুজার রহমান মিঠু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি তথ্য সার্ভিসের আঞ্চলিক বেতার কৃষি অফিসার মো. আবু সায়েম। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে ছিলেন টেপামধুপুর ইউপি. চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নিবাহী অফিসার দীপঙ্কর রায়। মাঠ দিবসে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উপজেলা কৃষি অফিসার মো. শামিমুর রহমান। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, বিশাল এ কাউনিয়ার চর যদি কাজে লাগাতে পারি তাহলে আমরা আর গরিব থাকবো না। এখানে প্রচুর লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় আঞ্চলিক বেতার কৃষি অফিসার বলেন, কৃষি তথ্য সার্ভিসের একটি কৃষি কল সেন্টার (১৬১২৩) চালু আছে। যেখানে কৃষিজীবী ভাই-বোনেরা ফোন করে কৃষি বিষয়ক যে কোনো সমস্যার সমাধান পেতে পারেন। বর্তমান যুগ হলো ডিজিটাল যুগ। আমরা যদি তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে পারি তাহলে কৃষি পণ্য বিক্রয় করা আর কঠিন হবে না। কৃষক তার পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাবে। উপজেলা কৃষি অফিসার বলেন, চরাঞ্চলের জনগোষ্ঠিকে যদি এসব উৎপাদনশীল খাতের সাথে সম্পৃক্ত করতে পারি তাহলে উৎপাদন অনেক গুণ বৃদ্ধি পাবে। তাদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে। সভাপতির বক্তৃতায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০২১ পূরণ হতে আর বেশি দিন সময় লাগবে না। কারণ চরের মানুষ পর্যাপ্ত কাজ পাবে, প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। একই সাথে মানুষের পুষ্টি সমস্যা দূর হবে। মাঠ দিবসে প্রায় দু’শতাধিক কৃষাণ কৃষাণি উপস্থিত ছিলেন। মাঠ দিবস শেষে এক মনোজ্ঞ সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।