ফুলগুলো দেখতে অনেকটা গোলাপ ফুলের মতো। আকারে, রঙয়ে, বর্ণে গোলাপের পরই কারনেশনের স্থান। এদের লবঙ্গের মতো গন্ধ আছে। লম্বা ডাটা থাকাতে এ ফুলটি ফুলদানিতে সাজানোর জন্য খুব উপযোগী। কারনেশনের বিভিন্ন জাত রয়েছে।
মধ্যে মার্গারেট, পার্পিচুয়াল ও বর্ডার কারনেশন এ তিনটি জাতের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। খোলামেলা জমিতে কারনেশন ফুলের চাষ ভাল হয়। জৈব সার সমৃদ্ধ দো-আঁশ মাটি এ ফুল চাষের জন্য সর্বোৎকৃষ্ট। গাছের গোড়ায় পানি জমা ক্ষতিকর। বীজ দিয়ে প্রধানত বংশবিস্তার করা হয়ে থাকে। শাখা কলমের মাধ্যমেও এর চাষাবাদ করা যায়।
জমি তৈরি ও সার প্রয়োগ
কারনেশন উৎপাদনের জন্য ভাল করে জমি চাষ করে আগাছা বাছাই করে নিতে হয়। এরপর প্রতি বর্গমিটার জমিতে একঝুড়ি পচা গোবর ৫০-৮০ গ্রাম টিএসপি এবং কিছু ছাই প্রয়োগ করতে হয়। দো-আঁশ মাটির সাথে সমপরিমাণ জৈব সার ও কিছু মিহি বালু মিশিয়ে টবের মাটি তৈরি করে নিয়ে এ ফুল টবে চাষ করা যেতে পারে।
চারা উৎপাদন ও রোপণ
অক্টোবর-নভেম্বর মাসে বীজতলায় বীজ বুনে চারা উৎপাদন করতে হয়। চারা ৫-৭ সেঃ মিঃ লম্বা এবং বয়স মাসখানেক হলেই বাগানে অথবা টবে স্থায়ীভাবে চারা রোপণ করতে হয়। বাগানে ৩০ সেঃ মিঃ দূরত্বে চারা লাগাতে হয়। কারনেশনের বহুবর্ষজীবী জাতগুলোর বেলায় একই সময়ে শাখা কলম করে চারা তৈরি করা হয় ।
অন্তর্বর্তীকালীন পরিচর্যা:
কারনেশনের গাছগুলো খাড়াভাবে রাখার জন্য কাঠি পুতে ঠেসের ব্যবস্থা করতে হবে। মাঝে মাঝে প্রয়োজন মতো পানি সেচ দিতে হবে। ভাল ফুল ও গাছের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য মাটিতে তরল সার প্রয়োগ করতে হবে। নাইট্রোজেন সার বেশি প্রয়োগ করলে এতে অঙ্গজ বৃদ্ধি বেশি হবে এবং ফুল দেরিতে আসবে। চারা গাছ ১০ থেকে ১৫ সেঃ মিঃ লম্বা হলে অমুকুল ভেঙ্গে দিতে হবে। এতে গাছে অধিক সংখ্যায় ডাল পালা গজাবে ভাল বৃহদাকার ফুল পেতে হলে কুঁড়ির সংখ্যা কমিয়ে যতগুলো দরকার তা রেখে বাকি মুকুল নষ্ট করে দিতে হবে।
ফুল সংগ্রহ
ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাস নাগাদ কারনেশনের ফুল পাওয়া যাবে। ধারালো ছুরি দিয়ে বড় ডাঁটা সমেত ফুল কাটাতে হবে।
তথ্যসূত্র:
১. সিরাজুল করিম আধুনিক পদ্ধতিতে ফুলের চাষ প্রথম প্রকাশ ২০০১
ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ