কার্প মাছ চাষে পোনা মজুদ ও খাদ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে মৎস্য চাষিদের সঠিকভাবে জানতে হবে। পুকুরে লাভজনক উপায়ে মাছ চাষ করতে কার্প জাতীয় মাছ অনেকেই বেছে নেন। তবে কার্প মাছ চাষে পোনা মজুদ ও খাদ্য প্রদান খুবই জরুরী। চলুন আজকে জানবো কার্প মাছ চাষে পোনা মজুদ ও খাদ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে-
কার্প মাছ চাষে পোনা মজুদ ও খাদ্য ব্যবস্থাপনাঃ
পুকুরে পোনা মজুদঃ
পুকুরে পোনা মজুদের আগে নিচের কাজগুলি করতে হবে।
বিষাক্ততা পরীক্ষা:
পুকুরে পোনা মজুদের পূর্বে পানিতে ঔষধের বিষক্রিয়া জেনে নেয়া উচিত। বিষক্রিয়া জানার জন্য পুকুরে একটি হাপা টাঙ্গিয়ে তারমধ্যে ১০-১৫ টি পোনা ছেড়ে ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত দেখতে হবে। যদি পোনা মারা না যায়, তবেই পুকুরে পোনা মজুদ করা যাবে। বালতি বা ডেকচির মধ্যেও এ কাজটি করা যায়। পোনা মারা গেলে পানি ঠিক না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
মজুদ পরবর্তী ব্যবস্থাপনা:
সম্পূরক খাদ্য সরবরাহঃ পুকুরে পোনা মজুদের পর থেকেই দৈনিক নিয়মিত খাদ্য সরবরাহ করতে হয়। সরিষার খৈল, চাউলের কুঁড়া, গমের ভূষি, ফিস মিল ইত্যাদি মাছের সম্পূরক খাদ্য। মাছের সম্পূরক খাদ্যে শতকরা ২০ ভাগ আমিষ থাকলে ভাল ফল পাওয়া যায়।
সম্পূরক খাদ্য প্রয়োগ মাত্রাঃ
পুকুরে প্রাকৃতিক খাদ্যের প্রাচুর্যতা ভেদে সম্পূরক খাদ্যের মাত্রা নির্ভর করে। তবে সাধারনতঃ মজুদ পুকুরে প্রতিদিন মাছের ওজনের ৩-৫ শতাংশ হারে ব্যবহার করলে ভাল ফল পাওয়া যায়। শীতকালে মাছের জৈবিক পরিপাক প্রক্রিয়া কমে যায়, ফলে তাদের খাদ্য গ্রহনের মাত্রা কমে যায়। তাই শীতকালে মাছ কম খায়। এজন্য শীতকালে মাছের ওজনের শতকরা ১-২ ভাগ হারে খাবার দিলেই চলে।