প্রকল্প বাস্তবায়ণ ইউনিট (পিআইইউ) ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রোগ্রাম, ফেজ-২ এর আয়োজনে দিনব্যাপী আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খামারবাড়ির প্রশিক্ষণ হলে “আঞ্চলিক অগ্রগতি মূল্যায়ণ কর্মশালা ২০১৭-১৮ কুমিল্লা ও সিলেট অঞ্চল” শীর্ষক এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন-এনএটিপি-২ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সন্মানিত অতিরিক্ত সচিব শাহ্ মোহামম্মদ নাসিম, এনডিসি।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. আলতাবুর রহমান এবং কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট হোমনা, কুমিল্লার অধ্যক্ষ কৃষিবিদ কামাল উদ্দীন আহমদ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ যুগল পদ দে। কর্মশালায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লা ও সিলেট অঞ্চলের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, বীজ প্রত্যয়ণ এজেন্সি, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি), বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি), বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) ও কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কারিগরি সেশনে জেলা ভিত্তিক পাওয়ার পয়েন্ট স্লাইড উপস্থাপনার মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে প্রকল্পের কার্যক্রম, সমস্যা ও সম্ভাবনা সমূহ তুলে ধরা হয়।
এছাড়াও গবেষণা প্রতিষ্ঠান সমূহের মৌলিক, প্রায়োগিক ও মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে দেশের কৃষির উন্নয়নে এবং খাদ্যশস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সম্প্রসারণবিদদের ভূয়সী প্রসংসা করেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভবিষ্যত বাণীর উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, এদেশের মানুষকে কেউ দাবায়ে রাখতে পরবে না। পাশাপাশি দেশের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে একটি মডেল প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে এর জেলা, উপজেলা ও ব্লক পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাজের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
তিনি এনএটিপি প্রকল্পকে একটি ফ্লাগশিপ প্রকল্প হিসেবে অভিহিত করে এই প্রকল্পের সহায়তাকে কজে লাগিয়ে দেশ, কৃষক ও কৃষির কল্যাণে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধিনস্ত সকল সংস্থাকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
এছাড়াও এই প্রকল্পের আওতায় মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সংগঠন ‘সিআইজি (কমন ইন্টারেস্ট গ্রুপ)’ সমূহ শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে কৃষকের আয়বর্ধনমূলক কর্মকান্ড বৃদ্ধি পাবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সভাপতি তার বক্তব্যে প্রকল্প-সম্প্রসারণ কর্মকান্ড আরও শক্তিশালী করার ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়নের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশের সোস্যাল নেটওয়ার্ক তথা ফেসবুককে কাজে লাগিয়ে তা বিশ্বব্যাপী প্রচারের আহ্বান জানান। তিনি আমন্ত্রিত অতিথিদের কর্মশালায় অংশগ্রহণে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
সংবাদ লেখক: মো. মহসিন মিজি, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, কৃষি তথ্য সার্ভিস, কুমিল্লা।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/এম