কুমিল্লায় জৈব বালাইনাশক প্রযুক্তিতে রোগবালাই ব্যবস্থাপনা শীর্ষক প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ

330

প্রশিক্ষণ

“বাংলাদেশে শাক-সবজি, ফল ও পান ফসলের পোকামাকড় ও রোগবালাই ব্যবস্থাপনায় জৈব বালাইনাশক ভিত্তিক প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ” প্রকল্পের আওতায়, কীটতত্ত বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, গাজীপুর এর বাস্তায়নে, ২৮ জুন আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, বিএআরআই, কুমিল্লায় ০২ (দুই) দিন ব্যাপী প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ শুরু হয়।

উক্ত প্রশিক্ষণে কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও বিএআরআই এর বৈজ্ঞানিক সহকারীরা অংশগ্রহন করেন।

প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন ড. দেবাশীষ সরকার, প্রকল্প পরিচালক ও মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, কীটতত্ত্ব বিভাগ, বারি, গাজীপুর।

তিনি প্রকল্পের সার্বিক বিষয়গুলো তুলে ধরেন এবং এই প্রকল্পের আওতায় ২০টি সবজি, ৬টি ফল ও ১টি পান ফসলের ওপর জৈব বালাইনাশক ব্যবহারের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- ড. সুলতান আহমেদ, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বারি, গাজীপুর। তিনি বলেন, বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকারের কৃষি উন্নয়নে গৃহিত পদক্ষেপ এবং তার সাফল্য আজ বাংলাদেশের মানুষ ভোগ করছেন।
কৃষি উন্নয়নে গবেষণা এবং সম্প্রসারণ এর যৌথ সমন্বয়ে আরো সেতুবন্ধনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য গুরুত্বারোপ করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন- ড. মো. আব্দুল মোত্তালিব, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, আঞ্চলিক কার্যালয়, কুমিল্লা ; মো. রেজাউল ইসলাম, উপ-পরিচালক, আইপিএম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ঢাকা।

তারা নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য আইপিএম প্রযুক্তি ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ত্ব করেন- ড. মো. উবায়দুল্লাহ কায়ছার, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, বিএআরআই, কুমিল্লা। তিনি বিষাক্ত রাসায়নিক বালাইনাশকের বিরূপ প্রভাব এবং রাসায়নিক বালাইনাশকের ব্যবহার কমিয়ে জৈব বালাইনাশকের সুষ্ঠ ব্যবহারের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন বিষয়ে আলোকপাত করেন।

সংবাদ লেখক: মো. মহসিন মিজি, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, কৃষি তথ্য সার্ভিস, কুমিল্লা।

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/ মোমিন