প্রাচীনকাল থেকেই গ্রাম-বাংলার মানুষ বিভিন্ন মসলা দিয়ে বাহারি খাবার তৈরি করে খাওয়ার অভ্যাস। এসব মসলা অধিকাংশ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। পুষ্টি বিজ্ঞনীদের তথ্যমতে, একজন মানুষের প্রত্যহ খাবারের সাথে ৫৪.২৫ গ্রাম বিভিন্ন প্রকার মসলা প্রয়োজন হয়। এসব মসলা বাড়ির আঙ্গিনায় চাষ করেই পারিবারিক চাহিদা মিটানো যায়। কিন্তু এ মসলার অধিকাংশই বিদেশ থেকে আমদানি করে চাহিদা মিটাতে হয়।
উল্লেখিত সার্বিক বিষয় নিয়ে, বাংলাদেশে মসলা জাতীয় ফসলের গবেষণা জোরদারকরণ প্রকল্প এর অর্থায়নে, আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, কুমিল্লার সহযোগিতায় ২২ জুন বিএআরআই এর প্রশিক্ষণ হলে, ‘মসলা জাতীয় ফসলের উন্নত উৎপাদন কলাকৌশল শীর্ষক কৃষক প্রশিক্ষণ এবং গোলমরিচ ও তেজপাতার চারা বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
আধুনিক পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন পিঁয়াজ ও বীজ উৎপাদন, রসুনের উন্নত উৎপাদন কলাকৌশল, মরিচ চাষাবাদের উন্নত কলাকৌশল, আদার উন্নত উৎপাদন কলাকৌশল, হলুদের উন্নত উৎপাদন কলাকৌশল, আধুনিক প্রযুক্তিতে ধনিয়ার উৎপাদন, বিলাতি ধনিয়ার উন্নত উৎপাদন কলাকৌশল, আলুবোখারা উৎপাদন প্রযুক্তি, দারুচিনি উৎপাদন প্রযুক্তি, তেজপাতা উৎপাদন প্রযুক্তি, কালোজিরা উৎপাদন প্রযুক্তি, মেথী উৎপাদন প্রযুক্তি, গোলমরিচ উৎপাদনের উন্নত কলাকৌশল সম্পর্কে প্রশিক্ষণার্থীদের অবহিত করার মধ্য দিয়ে কুমিল্লা অঞ্চলের কৃষদের মসলা চাষে আগ্রহী করে তোলা প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য।
প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন-ড. মো. শফিকুল ইসলাম, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, মসলা গবেষণা কেন্দ্র, শিবগঞ্জ, বগুড়া।
সভাপতির বক্তব্য রাখেন ড. মো. উবায়দুল্লাহ কায়ছার, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, কুমিল্লা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন কৃষিবিদ মো. আবুল হাসেম, উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা, ড. মো. শহিদুজ্জামান, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্র, গাজীপুর; ড. মো. হায়দার হোসেন, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, সরেজমিন গবেষণা ইনস্টিটিউট, কুমিল্লা; কৃষিবিদ মো. শহিদুল হক, জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা, ডিএই, কুমিল্লা।
বৈজ্ঞানিক তথ্য উপাত্ত নিয়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মো. হাফিজুর রহমান, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বিএআরআই, কুমিল্লা।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন- শামীমা সুলতানা, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বিএআরআই, কুমিল্লা।
সংবাদ লেখক: মো. মহসিন মিজি, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, কৃষি তথ্য সার্ভিস, কুমিল্লা।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/ মোমিন