কুমিল্লা অঞ্চলে আমন ধানের ফলন বৃদ্ধিতে করণীয় শীর্ষক কর্মশালা

339

কুমিল্লা

সোনার বাংলা সোনার দেশ সোনালী ফসলে ভরবো দেশ। এ উদ্দীপনা নিয়েই বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ যাবত বাংলাদেশ ধান গবেষণা  ইনস্টিটিউট ৯২টি নতুন জাতের ধান আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছেন। এর মধ্যে ৬টি রয়েছে হাইব্রিড জাত।

সে স্রোতধারায় বাংলাদেশ আজ দানাদার ফসল উৎপাদন ও খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ণ। এবং পুরো বিশ্বে বাংলাদেশ ধান উৎপাদনে ৪র্থ। কুমিল্লা অঞ্চলে আমন ধানের ফলন বৃদ্ধিতে করণীয় সম্পর্কে, বাংলাদেশ ধান গবেষণা  ইনস্টিটিউট আঞ্চলিক কার্যালয় কুমিল্লার উদ্যোগে ২৭ জুলাই রেড রুফ ইন নিসা টাওয়ার, কুমিল্লার হল রুমে দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় কুমিল্লা অঞ্চলের, কৃষি সম্প্রারণ অধিদপ্তরের কার্যলয় প্রধান, সকল গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয় সোনাগাজী ও হবিগঞ্জ এর প্রধান, আঞ্চলিক কৃষি তথ্য কর্মকর্তা, বিএডিসি কার্যালয়ের প্রধান, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা, সার বীজ কীটনাশক ডিলার, কৃষক প্রতিনিধি ও এনজিও প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

কৃষি প্রধান আমাদের বাংলাদেদেশে প্রধান খাদ্য ভাত। এবং দেশের অধিকাংশ কৃষকও ধান চাষ করতেই বেশী পছন্ন করেন। কুমিল্লা অঞ্চল অর্থাৎ কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় কিভাবে প্রতিকূল পরিবেশে পরিবর্তিত জলবায়ু ও বিভিন্ন জাতওয়ারী উপযুক্ত আধুনিক নতুন ধানের জাত ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষক ভাই ও বোনেরা আসন্ন আমন মৌসুমে গত আমন মৌসুমের চেয়ে আরো অধিক ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারে এ বিষয়ে জানানোই উক্ত কর্মশালার উদ্দেশ্য।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন- ড. মো. আনছার আলী, পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা), ব্রি গাজীপুর।

তিনি বলেন, যখনই বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতি হয়েছে তখন পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। অর্থাৎ অর্থের বিনিময়েও খাদ্য প্রদান করেনা। তাই নিজেদের খাদ্য নিজেরাই উৎপাদন নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য সরকার প্রয়োজনে সারের মূল্য আরো কমিয়ে আনবেন।

তিনি বিজ্ঞান সম্মত প্রযুক্তির বক্তব্য দিতে দিয়ে বলেন, ধানের প্রথম উপরী প্রয়োগের সময় প্রতি শতকে ৬০গ্রাম এমওপি, ৬০ গ্রাম থিওভিট এবং ২০ গ্রাম সিলেকটিং জিঙ্ক দিলে ধানের ফলন বহুগুণে বেড়ে যাবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে, ধানের একাধিক জাত উদ্ভাবনকারী ড. তমাল লতা আদিত্য, পরিচালক (গবেষণা), ব্রি গাজীপুর বলেন, ধানের উন্নত জাত আবিষ্কার করে আমরা সফল হয়েছি। এবারে আবিষ্কার করবো ডায়াবেটিস রোগ প্রতিরোধী ধান, যে ধানের ভাত খেয়ে ডায়াবেটিস রোগীরা সুস্থ থাকতে পারবে বলে উপস্থিত সকলকে আশ্বস্ত করেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএই, কুমিল্লা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষিবিদ শ্রীনিবাস দেবনাথ; কৃষিবিদ মো. আবু নাছের, উপপরিচালক, ডিএই, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

আসন্ন আমন মৌসুমে ধানের উৎপাদন অধিক হারে বাড়ানোর আধুনিক কলাকৌশল সম্পর্কে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন-কৃষিবিদ মো. শহীদুল হক, উপপরিচালক, ডিএই, কুমিল্লা; কৃষিবিদ মো. আব্দুর রশীদ, উপপরিচালক, ডিএই, চাঁদপুর।

কর্মশালায় প্রযুক্তিগত সহযোগিতা করেন মো. ফারুক হোসেন খান, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা; তন্ময় চক্রবর্তী, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা; পলাশ নন্দী, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন- ড. আমেনা সুলতানা, ব্রি, কুমিল্লা।

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন