কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত একটি গ্রাম মিরপুর। গ্রামটিতে প্রায় সাড়ে চারশ কৃষক পরিবার বসবাস করে। তারা প্রায় ১১২ বিঘা জমিতে বছরজুড়ে বিভিন্ন সবজির চাষাবাদ করেন। বছরে প্রায় চার কোটি টাকার সবজি বেচাকেনা হয় গ্রামটিতে। অন্যান্য গ্রাম থেকে একটু উঁচু হওয়ায় এ গ্রামে জলাবদ্ধতা কম। এখানকার মাটিও সবজি চাষের জন্য উপযুক্ত। সেজন্য কৃষকরা ধান, পাট, পেঁয়াজসহ অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি ১২ মাসই লাউ, ঝিঙা, পটোল, মরিচ, বেগুন, কচু, ওল, শসা, শিম, করলা, বরবটি, ঢ্যাঁড়শসহ হরেক রকম সবজি চাষাবাদ করেন। এসব সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি হচ্ছে।
সম্প্রতি মিরপুর গ্রামটিতে গিয়ে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে নানান রকম শাকসবজি চাষ করা হয়েছে। শোভা পাচ্ছে লাউ, ঝিঙা, পটোল, মরিচ, বেগুন, কচু, ওল, কলা, শসা, শিম, করলা, বরবটি, ঢ্যাঁড়শ প্রভৃতি।
এ সময় কৃষক আনিসুর রহমান জানান, তিনি ১৬ শতক জমিতে লাউ আর ১০ শতক জমিতে ঝিঙা চাষ করছেন। প্রতিদিনই তিনি ৪০ থেকে ৪৫টি লাউ বিক্রি করছেন। প্রতিটি লাউয়ের দাম ২৫ থেকে ৩০ টাকা।
আলমগীর হোসেন নামের আরেকজন কৃষক জানান, তার দেড় বিঘা জমিতে মরিচ আর দুই বিঘা জমিতে কলার চাষ আছে। জমি থেকে তিনি প্রতিদিনই ৩০ থেকে ৪০ কেজি মরিচ পাচ্ছেন। তার ভাষ্য, গড়ে প্রতিদিন তিনি তিন থেকে চার হাজার টাকার মরিচ বিক্রি করছেন। আর বছরে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার কলা বিক্রি করেন।
কুমারখালী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাইসুল ইসলাম বলেন, মিরপুর গ্রামে প্রায় ১৫ হেক্টর জমিতে সারাবছর নানান জাতের সবজি চাষ হচ্ছে। সেখানকার কৃষকরা ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকা খরচ করে প্রায় তিন থেকে চার কোটি টাকার সবজি বিক্রি করছেন।