প্রতিকূলতার পরও কৃষিকে ঘিরেই নতুন বছরের স্বপ্ন বুনছে উত্তরাঞ্চলের মানুষ। তবে কৃষিভিত্তিক শিল্প বিপ্লবের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সরকারের নতুন দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
গতানুগতিকতার বৃত্ত ভেঙ্গে গত এক দশকে অনেক এগিয়েছে কৃষি। সার-বীজ-সেচসহ কৃষি উপকরণের সহজ প্রাপ্যতায় বেড়েছে ফসলের নিবিড়তা ও উচ্চফলনশীলতা। কিন্তু ভালো বাজার ব্যবস্থাপনার অভাবে উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য না পাবার বঞ্চনাটাই কেবল পিছু ছাড়েনি। নতুন বছরে কৃষকের তাই একটাই আবেদন, একটাই প্রার্থনা। তারা বলেন, আমাদের যাতে ন্যায্যমূল্যটা দেয়।
উত্তরাঞ্চলের কৃষিখাতের দিকে সরকারের নতুন দৃষিভঙ্গির ওপর জোর দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।
রংপুর সমাজতান্ত্রিক খেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের সংগঠক আবদুল কুদ্দুস বলেন, কৃষকের উৎপাদনে পর্যাপ্ত বরাদ্দ পায় তাহলে কৃষকরা উপকৃত হবে দেশের মানুষও উপকৃত হবে।
উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে কৃষকের লাভের অংশ বৃদ্ধি, শস্য বহুমুখীকরণ, কৃষিযান্ত্রিকরণসহ সরকারের নানা নতুন পদক্ষেপের কথা জানালেন আঞ্চলিক কৃষি কর্মকর্তা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আলী বলেন, যান্ত্রিকায়নের মাধ্যমে কৃষকের উৎপাদন খরচ কমানো এবং নিরাপদ সবজি-ফল আবাদের মাধ্যমে, একটি কৃষক বাজারের সৃষ্টি করছি। যাতে কৃষক তার উৎপাদিত পণ্য নিজেই বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়।
কৃষি পণ্য ও ফসলের চাহিদা ও দামের নিশ্চয়তার জন্য রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণ ও কৃষিভিত্তিক শিল্প স্থাপনের পুরনো দাবি, নতুন বছরেও কৃষি ও শিল্পখাতে জড়িতদের।