দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে পোষাক খাত, প্লাস্টিক খাত, প্রেট্রোলিয়াম খাত এবং রেমিট্যান্সের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে কৃষি খাত।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে কৃষিপণ্য রপ্তানিতে ৮০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বাংলাদেশ।
২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ২০ কোটি ৩২ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করলেও চলতি অর্থবছরের একই সময়ে কৃষিপণ্য রপ্তানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬ কোটি ৬৫ লাখ ডলারে। কৃষি খাতে ঋণ পাওয়ার সহজলভ্যতা এই প্রবৃদ্ধির কারণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
উল্লেখ্য, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মোট ২১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা ২০১৭-১৮ অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৬.৮৬ শতাংশ বেশি। কৃষি ও পল্লী ঋণের ক্রমবর্ধমান চাহিদা বিবেচনায় চলতি অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংক সমূহের জন্য ৯ হাজার ৮৭৫ কোটি টাকা এবং বেসরকারি ও বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের জন্য ১১ হাজার ৯২৫ কোটি টাকা কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩ হাজার ৭১৩ কোটি টাকার কৃষি ঋণ বিতরণ করেছে দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো।
কৃষি খাতের অন্তর্ভুক্ত যেসব পণ্য বিদেশে রপ্তনি হয় তার মধ্যে কয়েকটিতে পিছিয়ে পড়লেও বেশিরভাগ পণ্যের রপ্তানি রয়েছে ঊর্ধ্বমুখী। যেমন সবজি, তামাক, ফুল ও শুকনো খাবার রপ্তানিতে যথাক্রমে ৮, ৭২, ২৫০০ ও ৫০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। অন্যদিকে গত অর্থবছরের প্রথম চার মাসের তুলনায় আলোচ্য সময়ে যথাক্রমে ১৪ ও ৯৬ শতাংশ পিছিয়ে পড়েছে চা ও বিভিন্ন ধরনের ফল রপ্তনি।
এবিষয়ে বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন এফবিসিসিআই-এর পরিচালক ও বাংলাদেশ এগ্রো প্রসেসর অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহসভাপতি জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশি কৃষিপণ্যের চাহিদা বেড়েছে। তাছাড়া কৃষকরা আগের চেয়ে বেশি উৎপাদন করছে। চা রপ্তানিতে নিম্নমুখী প্রবৃদ্ধির করণ হিসেবে দেশীয় চাহিদা বৃদ্ধি ও বিশ্ববাজারের তুলনায় বাংলাদেশি চায়ের দাম বেশি হওয়াকেই দায়ী করেছেন তিনি।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন