কৃষিযন্ত্র ব্যবহারে ফসল উৎপাদন ব্যয় কমেছে : কৃষি মন্ত্রী

457

কৃষি-মন্ত্রি-
বাংলাদেশে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের ক্ষেত্রে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। যান্ত্রিকীকরণের বহুবিধ সুবিধাদির ফলে কৃষকরা দিন দিন কৃষিযন্ত্রের প্রতি ঝুঁকে পড়ছেন। কৃষিযন্ত্র ব্যবহারে কৃষকদের ফসল উৎপাদন ব্যয় হ্রাস পেয়েছে।

একইসাথে একটা ফসল থেকে আর একটা ফসল লাগানোর মধ্যবর্তী সময় কমে যাওয়ায় কৃষকরা বছরে এখন ২ ফসলের স্থানে ৩টা ফসল অনায়াসেই করতে পারছে। এমনকি সুনির্দিষ্ট শস্য বিন্যাস ও স্বল্প জীবনকালের ফসল নির্বাচন করে যন্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে বছরে ৪টি ফসল পর্যন্ত করা সম্ভব হচ্ছে।

আজ সোমবার কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক ধনবাড়ী উপজেলার ভাইঘর গ্রামে সিনক্রোনাইজড ফার্মিং এর জন্য পরীক্ষামূলকভাবে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে বোরো ধানের চারা রোপন কার্যক্রমঃ-২০১৯-২০২০ এর “কৃষক সমাবেশ ও মাঠ দিবস” অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। পরে মন্ত্রী মেশিনের সাহায্যে ধান রোপন উদ্বোধন করেন।

মন্ত্রী বলেন, কৃষি ষান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে দানা শস্যের উৎপাদন আরও বৃদ্ধির যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। উন্নত কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রযুক্তি প্রয়োগে শস্য উৎপাদনের কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধি ও প্রাপ্ত সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার ও ফসল কর্তনোত্তর ক্ষতি কমানোর মাধ্যমে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক কৃষি উৎপাদন খরচ কমানোর লক্ষ্যে একাধিকবার সারের মুল্য হ্রাস করেছেন উল্লেখ করে বলেন, কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন খরচ যেমন অনেকাংশে কমে যায়, একই সাথে ফসলের নিবিড়তা ৫-২২ ভাগ বেড়েছে। ফসল উৎপাদনের ও কর্তনপূর্ব, কর্তনকালীন ও কর্তনোত্তর সময়ে ফসলের ক্ষতি হয়।

কৃষি সচিব নাসিরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মুরাদ হাসান,বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড.মোঃ শাহজাহান কবীর, বাংলাদেশ কৃষিগবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. আবুল কালাম আযাদ,কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড.মোঃ আব্দুল মুঈদ প্রমুখ।

ফার্মসএন্ডফার্মার/১৩জানু২০২০