কৃষিতে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। কারণ একটু চেষ্টা করেই যে কোন ফসল উৎপাদন করা যায় এবং উৎপাদিত ফসল পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করেও সাবলম্বী হচ্ছেন অনেকেেই। তবে এসব ফসলের মধ্যে বিষমুক্ত ফল ও শাকসবজি উৎপাদন সময়োউপযোগী একটি উদ্যোগ। কেননা মানুষ সুস্থ্য থাকার জন্য প্রতিদিন বিষমুক্ত ১১৫ গ্রাম ফল এবং শাকসবজি ২২০-২৫০ গ্রাম খাওয়া প্রয়োজন।
এই সকল চাহিদার কথা বিবেচনা করে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কুমিল্লা সদর উপজেলার ৫নং পাঁচথুবী ইউনিয়ন নিশ্চিন্তপুরের এমন একজন তরুণ উদ্যোক্তা মো. মেহেদী হাসান সুজন। নিজ পরিবারের এবং দেশের মানুষের পুষ্টি নিরাপত্তার বিষয়টি ভেবে বিভিন্ন জাতের ফলের বাগান করেছেন।
বর্তমানে তার বাগানে- বারি মাল্টা১, ভিয়েতনামী নারকেল, বারি আম৩, বারি আম৪, বারি আম১১, কমলা, রেডলেডী পেঁপে, বারি পেয়ারা৩, লিচু, আমড়া, সুপারী, বাউকুল, আপেলকুল, কাঁঠাল, চায়নালিচু৩, ব্রুনাই কিং আম, গৌরমতি আম, থাই লেবু এবং দেশী জাতের কয়েকটি ফলের গাছ রয়েছে। এ বাগানে সাথি ফসল হিসেবে কয়েক প্রকারের শাকসবজির চাষ করছেন। এছাড়া মেহেদী হাসানের রয়েছে ছোট্র একটি ডেইরী খামার। পরিবারের চাহিদা মিটানোর জন্য করছেন মৎস্য চাষ।
এ ব্যাপারে মেহেদী হাসানের সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণের কাছ থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে কৃষি কাজের প্রতি আগ্রহী হয়েছেন এবং আস্তে আস্তে আরো বড় আকারে ফলের বাগান, ফলের বাগানে সাাথি ফসল হিসেবে শাকসবজির চাষ এবং সে সাথে ডেইেরী খামার ও মৎস্য খামার করবেন।
তিনি বলেন, আমি উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে কৃষি বিষয়ক প্রশিক্ষণ নিয়েছি। আমি আমার দেশেই কৃষি খামার করে যুবক ভাইদের কর্মসংস্থান করবো। কারন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদেশে না গিয়ে নিজের দেশে কৃষি কাজ করাই অনেক সম্মানের। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বড় বড় ডিগ্রী নিয়েও অনেকে কৃষি খামার করে সফল হয়েছেন। আমার বিশ্বাস আমিও একদিন বড় উদ্যোক্তা হতে পারবো। বর্তমানে আমি, উপসহকারী কৃষি অফিসার মো. আরিফ সাহেবের পরামর্শে বিভিন্ন প্রকার ফল ও শাক-সবজির চাষ করছি। সে সাথে সকলের দোয়া ও সহযোগীতা কামনা করছি।
ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ