কেঁচো সার তৈরিতে সফলতায় জয়পুরহাটের ২২৫ কৃষাণ-কৃষাণী

719

কেচো

জয়পুরহাট: জয়পুরহাটে ভার্মি কম্পোস্ট (কেঁচো সার) তৈরিতে সফলতা পেয়েছেন ২২৫ কৃষাণ-কৃষাণী। সদর উপজেলা পরিষদের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় কৃষক-কৃষাণীদের কেঁচোর সার প্রদর্শনীর জন্য প্রশিক্ষণসহ উপকরণ প্রদান করা হয়।

কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, ভার্মি কম্পোস্ট (কেচো সার) প্রদর্শনীর জন্য সদর উপজেলার ২১৮ গ্রামের উৎসাহী ২২৫ জন কৃষাণ-কৃষাণীকে প্রশিক্ষণসহ ২টি করে রিং, ৪শ’ পিস কেঁচো এবং সম্মানী বাবদ ২শ’ টাকা প্রদান করা হয়েছিল। উপজেলা কৃষি বিভাগ সরকারের আয় বর্ধনমূলক ও বিশেষ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রতিটি গ্রামে ভার্মি কম্পোস্ট প্রযুক্তি সম্প্রসারনের লক্ষ্যে গত মে মাসে উপজেলা পরিষদের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় প্রশিক্ষণ ও কেঁচো বিতরণ করে। পাঁচ মাসের মধ্যে কেঁচো সার তৈরি সম্পন্ন হওয়ায় এখন তা সংগ্রহ করছেন কৃষাণ-কৃষাণীরা। সবজি চাষের জন্য কেঁচো সার অত্যন্ত উপকারী সে কারণে প্রতি কেজি সার বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা দরে।

তেমনই একজন কৃষাণী সদর উপজেলার চকদাদরা গ্রামের ইউসুফ আলীর স্ত্রী গোলাপী খাতুন ভার্মি কম্পোস্ট (কেঁচো সার) সংগ্রহ করছেন সবজি চাষে ব্যবহারের জন্য। নিজের সবজি ফসলে ব্যবহারের পাশাপাশি ১০ টাকা কেজি বিক্রি করছেন বলে জানান গোলাপী খাতুন।

ভার্মি কম্পোস্ট প্রদর্শনী দেখে এলাকার অনেক কৃষাণ-কৃষাণী উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেরাজুল ইসলাম জানান, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ভার্মি কম্পোস্ট প্রযুক্তি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ২১৮ গ্রামের ২২৫ কৃষাণ-কৃষাণীকে প্রশিক্ষণ ও কেঁচো প্রদান করা হয় গত মে মাসে। এখন তারা কেঁচো সার সংগ্রহ করছেন সবজি ফসলে ব্যবহারের জন্য। অনেকে বিক্রিও করছেন। প্রশিক্ষিত ২২৫ কৃষক-কৃষাণী ভার্মি কম্পোস্ট (কেঁচো সার) তৈরিতে সফলতা পয়েছেন বলেও জানান তিনি।

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন