সুন্দরবনে কয়েকটা ফুলের মধু পাওয়া যায় তার মাঝে কেওড়া ফুলের মধু অন্যতম। সুন্দরবনের নদী ও খালের তীর এবং চরে এ গাছ বেশি জন্মায় তবে লবনাক্ত ভূমিতে বেশি জন্মে। এই গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Sonneratia apetala। এই গাছটি প্রায় ২.৫ মিটার থেকে ২০ মিটার লম্বা হতে পারে।
আমাদের দেশে এই গাছ সুন্দরবনসহ বিষখালী ও বলেশ্বর নদঘেঁষা সবুজ বেষ্টনীর অংশ হয়ে ঘিরে রেখেছে সমুদ্র উপকূল। কেওড়া ফল হরিণ এবং বানরের অনেক পছন্দের খাবার তাই এই গাছের নিচে হরিণের দল দেখা যায়। এই গাছের ফুল গুলো হয় ছোট ছোট হলুদ বর্ণের। উভলিঙ্গের এ ফুল থেকে আমার কেওড়া মধু পেয়ে থাকি।
১. কেওড়া ফুলের মধু নিয়ে কিছু কথা
২. কেঁওড়া ফুলের মধু অত্যন্ত ঔষধি গুণসম্পন্ন৷
৩.এই মধুতে জলীয় অংশ (Moisture) বেশি (প্রায় ২৬%) থাকার কারণে অন্যান্য মধু থেকে অনেক পাতলা হয় ৷
৪.এই মধু কিছুটা হলদে বর্ণের হতে পারে কারণ কেওড়া ফুল হলদে বর্ণের হয়ে থাকে।
৫.মধুর পাত্রের গায়ে গাঁদ জমে যেতে পারে কারণ এগুলো মৌয়ালদের হাতের কাটা মধু ৷
৬.কাঁচা মধু বিধায় পাত্রের মধ্যে হালকা গ্যাস সৃষ্টি হতে পারে ৷
৭.ঝাঁকি লাগলে ফেনা হয় এবং বুদবুদ (Air Bubble) সৃষ্টি হয় ৷
৮.pH মাত্রা বেশি থাকার কারণে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া/ঈস্ট সক্রিয় হতে পারেনা ৷