শীতকালে চা-কফি খাওয়ার পরিমাণ অনেকটাই যায় বেড়ে। চা-কফি খাওয়া মানেই চিনি খাওয়া। এভাবে চা-কফির মাধ্যমে প্রতিদিন কতটা চিনি খাওয়া হয়ে যায়, তা জানেন কী? সমস্যা কিন্তু এই চিনিতে, চা-কফিতে কোন অসুবিধা নেই। মেডিক্যাল হাইপোথিসিস জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণার তথ্য হচ্ছে- চিনি শুধু ওজন কিংবা পেটের মেদই নয়, ডেকে আনে বিষণ্ণতাকেও।
ইউনিভার্সিটি অব ক্যানসাসের গবেষকরা চিনি গ্রহণের পরে মানুষের শারীরবৃত্তীয় ও মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তনের তথ্য পর্যবেক্ষণ করে এই সমস্যাটি চিহ্নিত করেছেন।
চা-কফির সঙ্গে তো বটেই, এর সঙ্গে শীতকালে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি জাতীয় খাবার গ্রহণেরও পরিমাণ যায় বেড়ে। এতেও একই রকম ক্ষতিকর প্রভাব তৈরি করে। এমনকি অতিরিক্ত চিনি গ্রহণে দেখা দেয় অ্যালকোহলের মতো নেতিবাচক প্রভাব।
চিনি আমাদের শরীরে ড্রাগের মতো কাজ করে। মিষ্টি খাওয়ার কিছুক্ষণ পর মন ভালো থাকে, কিন্তু তারপর মস্তিষ্ক বিষণ্ণ হয়ে পড়ে। তাই ‘ওয়াইট পয়জন’ খ্যাত এই চিনিকে যত সম্ভব খাদ্যতালিকা থেকে দূরে রাখতে হবে।
২০১৬ সালে ফার্মিংহাম হার্ট স্টাডির গবেষকরা ১ হাজার জনের উপর করা একটি গবেষণা চালিয়ে দেখেছেন যে, যারা যত বেশি মিষ্টি জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করে থাকেন তাদের পেটের মেদ হবার সম্ভবনা তত বেশি। পেটের এই মেদ হার্টের সমস্যা এবং ডায়াবেটিসের সমস্যার জন্য অনেকাংশেই দায়ী।
বাড়তি চিনি মানেই বাড়তি শর্করা যা দ্রুত পরিপাক হয়ে আপনার রক্তের মধ্যে মিশে গিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে শক্তি উৎপন্ন করতে সাহায্য করে। তবে শরীরের মেটাবলিজমের কারণে কিছুক্ষণ পরেই সেই শক্তি চলেও যায়। তাই চিনি খান ভেবে চিন্তে, নইলে বিপদে পড়বেন।