ডিম ও মাংস
পৃথিবীতে যত প্রকার খাদ্য উপযোগী ডিম ও মাংস আছে তার মধ্যে কোয়েল পাখির ডিম ও মাংস গুনে মানে, পুষ্টিতে এবং স্বাদে সর্বশ্রেষ্ট। একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর নিয়মিত মুরগীর ডিম এবং বিভিন্ন মাংস খেলে কলোস্ট্ররেল বেড়ে হৃদ রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। অথচ কোয়েলের ডিম এবং মাংস নিসংকোচে যে কোনো বয়সের মানুষ বাচ্চা থেকে বৃদ্ধরা খেতে পারে। এতে ক্ষতির কোনো কারণ নেই বরং নিয়মিত কোয়েলের ডিম ও মাংস গ্রহণ করলে অনেক কঠিন রোগ থেকে আরোগ্য লাভ হতে পারে। বিভিন্ন দেশে কোয়েল পাখি নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে এবং সব জায়গা থেকে গবেষকরা কোয়েলের ডিম ও মাংস নিশ্চিন্তে খাওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন।
কি আছে কোয়েলের ডিম ও মাংসে?
১. কোয়েল ডিম এর মধ্যে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, এনজাইম এবং এমাইনো এসিড এমনভাবে বিন্যাসিত যে, এই ডিম খেলে শরীরে সব ধরণের পুষ্টির অভাব পুরণ করে শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
২. মুরগীর ডিমের সঙ্গে তুলনা করে দেখা গেছে কোয়েল ডিমে কোলেস্টেরেল যেখানে ১.৪% সেখানে মুরগীর ডিমে ৪% এছাড়া কুসুমে প্রটিনের পরিমান মুরগীর থেকে প্রায় শতকরা ৭ ভাগ বেশী।
৩. কোয়েল ডিমে ভিটামিন বি-১ এর পরিমান মুরগীর ডিম থেকে ছয়গুণ বেশী। ফসফরাস পাঁচ গুণ বেশী। আয়রন পাঁচ গুণ বেশী। ভিটামিন বি-২ পনেরো গুণ বেশী।
৪. স্বাদের বিচারে ব্রয়লার মুরগীর মাংসের তুলনায় কোয়েলের মাংস বেশ মুখরোচক এবং দামের বিচারেও ১টি মুরগীর ডিমের দামে প্রায় ৪টি কোয়েলের ডিম পাওয়া যায়।
নিয়মিত সকালের খাদ্য তালিকায় ৪/৫টা কোয়েল ডিম এবং সপ্তাহে অন্তত একবার কোয়েলের মাংস খেলে যে উপকার হয়ঃ
৫. কিডনী, লিভার এবং হ্রদপিন্ডের কার্যক্ষমতা উন্নত করে।
৬. হজম শক্তি বাড়াতে এবং এসিডিটি কমাতে সাহায্য করে।
৭. বাচ্চাদের মানসিক, শারীরিক এবং বুদ্ধিমর্ত্তার বিকাশে সহায়ক।
৮. সব বয়সের লোকদের পূর্ণজ্জীবিত এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৯. যৌন ক্ষমতা তথা শারিরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
১০. কোয়েলের ডিম ও মাংস ডায়বেটিক রোগীরা নিশ্চিন্তে খেতে পারেন।
১১. কোয়েলের ডিম ও মাংস বেশ সস্তা।
ফার্মসএন্ডফার্মার/০৫মার্চ২০