কেরানীগঞ্জে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে গ্রীস্মকালীন টমেটো

244

ঢাকার কেরানীগঞ্জে বিভিন্ন ইউনিয়নে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে গ্রীস্মকালীন টমেটো। জমির উপর পলিথিনের সেট নির্মাণ করে বিশেষ পদ্ধতিতে চাষ হচ্ছে এ টমেটো। অফ সিজনে টমেটো চাষ করে ফলন ভালো হওয়ায় ও বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় গ্রীস্মকালীন টমেটো চাষে কৃষকদের মধ্যে ব্যপক আগ্রহ দেখা দিচ্ছে।

জুন- জুলাই মাসে টমেটো চাড়া রোপণ করে আগষ্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাস পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। শীতকালীন টমেটো সংরক্ষণ করে গ্রীস্মকালে খেলে এর পুষ্টি গুণ নষ্ট হয়ে যায়। তাই গ্রীস্মকালে উৎপাদিত টমেটো টাটকা হওয়ায় ও এর পুষ্টিগুণ ভালো হওয়ায় বাজারে এর ভালো চাহিদা রয়েছে এবং কৃষক ভালো দামও পাচ্ছে। কেরানীগঞ্জের রুহিতপুর কলাতিয়া ও হযরতপুরসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে বানিণজ্যক ভাবে গ্রীস্মকালীন টমেটো চাষ হচ্ছে। এ টমেটো কেরানীগঞ্জ ও রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হচ্ছে।

রোহিতপুর ইউনিয়নের কৃষক আফজাল হোসেন বলেন, গ্রীস্মকালীন সময় টমেটো চাষ আমাদের কাছে নতুন। আমি কৃষি অফিসের পরামর্শে এবছরেই প্রথম তিন শতাংশ জমির উপর টমেটো চাষ করি। বিশেষ পদ্ধতিতে চাষ করার ফলে শীতকালীন সময় উৎপাদিত সমপরিমান টমেটো এসময় উৎপাদিত হচ্ছে। শীতকালীন সময় আমরা টমেটো ১০/১৫ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি করি এতে উৎপাদন খরচ বাদে বেশি একটা লাভ থাকেনা। আর এবছর গ্রীস্মকালীন সময় উৎপদিত টমেটো আমি ১২০/১৪০ টাকা প্রতি কেজি দরে কিক্রি করেছি। প্রথম বছর অল্প জমিতে টমেটো চাষ করলেও ভালো লাভোবান হয়েছি।

কলাতিয়া ইউনিয়নের কৃষক মহাসিন মিয়া বলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল আমীন স্যার নিজে আমার জমিতে এসে গ্রীস্মকালীন টমেটো চাষের পদ্ধতি শিখিয়েছেন। তার পরামর্শে এবছর গ্রীস্মকালীন সময় টমেটো চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছি এবং ভালো লাভোবান হয়েছি। আগামী বছর আরো বেশী জমিতে গ্রীস্মকালীন সময় টমেটো চাষ করবো।

এব্যাপারে কেরানীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল আমীন বাসসকে বলেন, গ্রীস্মকালীন সময টমেটো চাষ কৃষকদের কাছে সম্পুর্ণ নতুন। আমরা কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকদের গ্রীস্মকালীন টমেটো চাষের ব্যাপারে উৎসাহ, প্রশিক্ষণ ও বিভিন্ন পরামর্শ দেই। ফলে এবছর কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়নে কৃষকরা গ্রীস্মকালীন সময় টমেটো আবাদ করে ভালো লাভোবান হয়। গ্রীস্মকালীন টমেটো চাষ পদ্ধতি কিছুটা ব্যতিক্রম। বৃষ্টিতে টমেটো গাছের গোড়ায় যাতে পানি জমে না যায় এজন্য প্রতিটি গাছের গোড়ায় মাটি দিয়ে উঁচু করে দিতে হয়। অতি বৃষ্টি ও অতিরিক্ত তাপের হাত থেকে রক্ষর জন্য টমেটো গাছের উপর পলিথিনের সেট তৈরি করতে হয়। শীতকালীন সংরক্ষণ করা টমেটোর চেয়ে গ্রীস্মকালীন টমেটো টাটকা হওয়ায় এর পুষ্টিগুণ বেশী থাকায় এ টমেটোর প্রতি মানুষের আগ্রহও বেশী। এছাড়ও বাজার দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা গ্রীস্মকালীন টমেটো চাষে আগ্রহী হচ্ছে।

সূত্র:বাসস